রায়হান কবির ভারতীয় চক্রান্তের শিকার-আয়েবা মহাসচিব; সহায়তায় ফরাসী আইনজীবী নিয়োগ

কাতার ভিত্তিক টিভি চ্যানেল ‘আল জাজিরা’য় সাক্ষাত্কার দেয়া বাংলাদেশী তরুণ রায়হান কবির ভারতীয় চক্রান্তের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন অল ইউরোপীয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন (আয়েবা) মহাসচিব কাজি এনায়েত উল্লাহ্ ইনু।
বুধবার প্রবাসের আলোর সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
মহাসচিব বলেন, সম্প্রতি মালোয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগের যে ঘোষণা দিয়েছেন তা রোধ করতে চক্রান্ত করছে ভারত। যাতে মালোয়েশিয়া-বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে ভারত থেকে নিয়োগ দেয় প্রতিনিয়ত তারা সে পায়তারা করছে। আর সে কারণে মালোয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করতে বাংলাদেশী তরুণ রায়হান কবিরকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে।
আমরা রায়হান কবিরের পাশে আছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রায়হান কবিরকে সব ধরণের আইনী সহায়তা দিতে আমারা ফ্রান্সের দক্ষ আইনজীবী ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ফিলিপ সিমনেকে নিয়োগ দিয়েছি। শিগগিরই তিনি মালোয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ফ্রান্স ছাড়বেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে মালয়েশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই দেশটিতে আটক বাংলাদেশি যুবক রায়হান কবিরকে সরকার সবধরণের সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, আমরা চাই না আমাদের কোনো প্রবাসী কোনো দেশে সমস্যায় পড়ুক। আমরা দেখবো আমাদের এই ইয়াংম্যানের (রায়হান কবিরের) কোনো অসুবিধা যেন না হয় এবং দুই দেশের সম্পর্কও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
উল্লেখ্য, মালেশিয়ায় লকডাউন চলাকালে অভিবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে আল-জাজিরার ‘১০১ ইস্ট প্রোগ্রাম’র একটি পর্বে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরই মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন রায়হান কবির।
গত ৩ জুন ‘লকড আপ ইন মালয়েশিয়া’স লকডাউন’ পর্বটি প্রচারিত হয়। ওই পর্বে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রেড জোনে অভিযান চালানোর সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও সমালোচনা তুলে ধরা হয়।
পর্বটি প্রচারিত হওয়ার একদিন পরই রায়হানের অবস্থান সম্পর্কে কারও কোনো তথ্য জানা থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে জানাতে আহ্বান করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। পরে ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে রায়হানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে মালয়েশিয়া পুলিশ। রায়হান কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে দেশটির আদালত।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *