১০ ভারতীয় সেনাকে ফেরত দিলো চীন

লাদাখে রক্তাক্ত সংঘর্ষের তিনদিন পর আটকে রাখা দশজন ভারতীয় সেনাকে ফেরত দিলো চীন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে রয়েছেন একজন লেফটন্যান্ট কর্নেল এবং তিনজন মেজর। দ্য হিন্দু সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, গালওয়ানে সংঘর্ষের সময় চীন তাঁদের আটকে রেখেছিল।
তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শুধু জানানো হয়েছে, কোনও ভারতীয় সেনা মিসিং নেই। ওই দিনের সংঘর্ষে ৭৬ জন সৈনিক আহত হয়েছিলেন। তাঁরা সকলেই চিকিৎসাধীন ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। ১৬ জন লে-র হাসপাতালে আছেন। বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
ভারতে এখন যে বিতর্কটা ক্রমশ প্রবল হচ্ছে, সেটা হলো, ঘটনার দিন ভারতীয় জওয়ান এবং অফিসাররা কি খালি হাতে গিয়েছিলেন, না কি তাঁদের হাতে অস্ত্র ছিল? যদি অস্ত্র থাকে তো তাঁরা আক্রান্ত হয়েও তা ব্যবহার করলেন না কেন? আর যদি তাঁরা নিরস্ত্র অবস্থায় যান, তা হলে কে তাঁদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং কেন দিয়েছিলেন?
এই বিতর্ক উসকে দিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দুইটি টুইট। তিনি বলেন, নিরস্ত্র ভারতীয় সেনাকে হত্যা করে চীন জঘন্য অপরাধ করেছে। কিন্তু আমি জানতে চাই, এই বীরদের বিনা হাতিয়ারে কারা পাঠিয়েছিলেন, কেন পাঠিয়েছিলেন, দায়ী কে? চীনের হাতে ২০ জন সেনার মৃত্যু ও করোনার জন্য রাহুল বৃহস্পতিবার তাঁর ৫০ তম জন্মদিনও পালন করেননি।
রাহুল গান্ধীর জবাবে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর টুইট করে বলেন, ”সীমান্তে সব সৈনিক সবসময় হাতে অস্ত্র রাখেন। বিশেষ করে তাঁরা যখন তাঁদের পোস্ট ছেড়ে যান। গালওয়ানেও ভারতীয় সেনাদের হাতে অস্ত্র ছিল। কিন্তু ১৯৬৬ ও ২০০৫ সালের চুক্তিতে বলা হয়েছে, বিরোধের সময় কোনও পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে না।”
লেফটন্যান্ট জেনারেল এইচ এস পানাগ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ”অস্ত্র ব্যবহার না করার চুক্তি সীমান্ত ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে খাটে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে খাটে না। যখন সেনাদের জীবন বিপন্ন তখন কম্যান্ডিং অফিসার অবশ্যই গুলি চালাবার নির্দেশ দেবেন।

Originally posted 2020-06-19 12:41:52.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *