ভারতীয় সেনাদের আটকের বিষয় অস্বীকার চীনের

ভারত-চীন উত্তেজনার মধ্যে তিব্বতে যুদ্ধমহড়া অব্যাহত রেখেছে বেইজিং। এরমধ্যেই, ভারতের দিকে যারা তাকিয়েছে তাদের উচিৎ শিক্ষা দেয়া হয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে ভারতের গণমাধ্যম, ভারতীয় ১০ সেনাকে চীন ছেড়ে দিয়েছে বলে দাবি করলেও, বেইজিং বলছে, তারা কারো সেনা আটকেই রাখেনি।

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে নিহত ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশায় অনুষ্ঠিত সবযাত্রায় অংশ নেন নিহতের স্বজন, সামরিক কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষ। এদিকে, চীনা হামলার ঘটনায় ভারতে ক্রমেই বাড়ছে চীনবিরোধী বিক্ষোভ।

একজন বলেন, আমাদের সেনাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্টের ফাঁসির দাবি করছি। সরকার কেনো সেনাদের অস্ত্র ছাড়া লাদাখ সীমান্তে পাঠালো। হত্যার কঠোর বদলা নিতে হবে।

এদিন করনীয় নির্ধারণে সর্বদলীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হামলার আগাম তথ্য না থাকায় সরকারকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন বিরোধীনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বৈঠকের পর দেয়া ভাষণে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন নরেন্দ্র মোদি।

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, আটক ভারতীয় ১০ সেনাকে ছেড়ে দিয়েছে চীন। তারা শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। সংঘাতে আহতরা শঙ্কামুক্ত বলেও জানানো হয়। তবে বেইজিং বলছে, তারা কাউকে আটক করেনি।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, সাময়িক ও কূটনীতিক উপায়ে সংকট সমাধানে চীন ও ভারত কাজ করছে। এ পর্যন্ত যতোটুকু তথ্য রয়েছে, চীন কোনো ভারতীয় সেনাকে আটক করেনি।

সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই তিব্বতে যুদ্ধ মহড়া জোরদার করেছে চীন। সীমানা থেকে মাত্র ৪ হাজার ৭শ’ আয়োজিত মহাড়ায় অংশ নেয় বিভিন্ন অস্ত্রসজ্জিত ট্যাংক, সাজোয়াযান।

Originally posted 2020-06-20 20:00:32.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *