করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কতদিন পর্যন্ত সুরক্ষিত আপনি?

করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কতদিন পর্যন্ত সুরক্ষিত আপনি? সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্টে এ বিষয়ে জানিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী।

প্লাজমা ব্যবহার করে করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের অ্যান্টিবডি কাজে লাগিয়ে ভাইরাসকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির উৎপাদনের পাশাপাশি করোনা রুখতে সক্ষম এমন অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের প্রায় দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানীরা। এরইমধ্যে নতুন তথ্য উঠে এল সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায়।

বিজ্ঞানীরা জানান, করোনার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি বড়জোড় দুই থেকে ছ’মাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম!

সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় একদল চীনা বিজ্ঞানী একটি সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন। ওই প্রতিবেদনে ২৭ থেকে ৬৬ বছর বয়সী ৩৭ জন উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তকে পর্যবেক্ষণ করে তারা দেখেন, এদের শরীরে অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা করোনার বিরুদ্ধে বড়জোড় দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে। এই সমীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের অ্যান্টিবডি সাধারণ উপসর্গযুক্ত রোগীদের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল হয়।

বিজ্ঞানীরা ওই ৩৭ জন উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ার পর আরও ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে দেখেন।

বিজ্ঞানীরা জানান, ৮১ শতাংশ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। সেই তুলনায় ৬২ শতাংশ উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের মধ্যে অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই সতর্ক করে বলেছিল, ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরে কোভিড- ১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হবেই, এমনটা বলা যাচ্ছে না। আর কোভিড- ১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হলেও তা কতদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে, সে বিষয়েও এতদিন নিশ্চিত ছিলেন না বিজ্ঞানীরা।

এ বার এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা পেলেন বিজ্ঞানীরা। তবে ৫০ জনেরও কম রোগীর ওপর করা এই সমীক্ষার তথ্যের উপর এখনই পুরোপুরি নির্ভর করতে চাইছেন না বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।

সূত্র: জি ২৪ ঘণ্টা।

Originally posted 2020-06-20 21:03:33.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *