রুশ ব্যবসায়ীর ফেলে যাওয়া রাসায়নিক থেকে বৈরুতে বিস্ফোরণ!

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফোরক দ্রব্যের গুদামে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও ৫ হাজার মানুষ। বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটিতে দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বিস্ফোরণ পরবর্তী উদ্ধার-সহায়তায় ও তদন্তে কার্যকরভাবে সামরিক বাহিনীকে পুরোপুরি ক্ষমতা প্রদানের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকে এ সিদ্ধান্ত নেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এক রুশ ব্যবসায়ীর ফেলে যাওয়া রাসায়নিক থেকে বৈরুত বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ছাড়া দেশটির রাজনৈতিক নেতারা দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন। তারা এ ঘটনার দায় বন্দরের কর্মকর্তাদের বলে মত প্রকাশ করেছেন।

অপরদিকে কাস্টমস কর্মকর্তারা আঙ্গুল তুলেছেন রাজনৈতিক নেতাদের দিকে। তাদের দাবি, বন্দর থেকে বিপজ্জনক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সরিয়ে নিতে তারা বারবার সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু সরকারের কানে সেই সতর্কবার্তা যায়নি।

নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, বৈরুত বন্দরের ১২ নম্বর গুদামে অরক্ষিতভাবে ফেলে রাখা হয়েছিল এই রাসায়নিক। ২০১৩ সালে রাশিয়ার ব্যবসায়ী ইগর গ্রেচুশকিন ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জর্জিয়া থেকে মোজাম্বিকে পাঠাচ্ছিলেন জাহাজটিতে করে। পরে সেটি আটক করে লেবানন কর্তৃপক্ষ। জাহাজটির যথাযথ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এমনকি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট পরিবহনের কাগজও ছিল না।

পরে গ্রেচুশকিন নামে ওই রুশ ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে গেলে বন্দরে তার জাহাজটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে যান। এরপর জাহাজের অধিকাংশ কনটেইনার বন্দরের ১২ নম্বর গুদামে রাখা হয়।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *