ফ্রান্সে ঈদুল আজহা উদযাপন

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় স্বাস্থ্যবীধি মেনে করোনাকালিন সময়ে ফ্রান্সে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। সরকারী নির্দেশনা মেনে প্যারিসসহ আশপাশের মসজিদে মুসল্লিদের ঈদের অংশনিতে দেখা গেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ফ্রান্সে খোলা মাঠে প্রকাশ্যে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার-ই প্রথম নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতিতে বেশকিছু জায়গায় খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্দেশনা মেনে প্রত্যেক মুসল্লির সঙ্গে নামাজের বিছানা ও মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করণে মসজিদ কমিটির গৃহীত পদক্ষেপ ছিলো চোখে পড়ার মতো।

ফ্রান্সে বাংলাদেশ কমিউনিটির সবেচেয়ে বড় মসজিদ বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার-ইস্তায় শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদের নামাজে অংশনিতে মুসুল্লিদের ব্যাপক জমায়েত। প্রত্যেকের হাতে নামাজের বিছানা আর মুখে মাস্ক। মসজিদে প্রবেসের জন্য সামাজিক দূরত্বে রয়েছে লম্বা লাইন। মসজিদের প্রবেশ পথে চলছে প্রত্যেক মুসল্লির তাপমাত্রা পরীক্ষা। রয়েছে হ্যান্ড সেনিটাইজার। সুশৃঙ্খলভাবে নামাজ আদায় শেষে ভিন্ন পথ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন সবাই। একইভাবে পরবর্তী জামাতে অংশ নিতে প্রবেসের জন্য চলছে প্রস্তুতি। এভাবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একে-একে অনুষ্ঠিত হয় ৫টি ঈদের জামাত।


নামাজে অংশ নিতে আসা শিল্পী-মাহবুব মুরাদ প্রবাসের আলোকে বলেন, ১০ বছর প্রবাস জীবনে আজ এক ভিন্ন অভিজ্ঞতায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করলাম। ঈদুল ফিতরে লকডাউনে ঘরে নামাজ আদায় করলেও এবার মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়তে পেরে খুশি তিনি।
ইকবাল হোসেন বলেন, প্রবাস জীবনে ঈদ এলে আনন্দের চেয়ে বেশি কষ্ট হয়। কারণ আপনজনের ছাড়া ঈদ আসলেই বেদনা দায়ক। তবে করোনাভাইরাস মহামারীতেও আমি বেঁচে আছি আর জামাতে ঈদের নামাজ পড়তে পেরেছি এরচেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না।


বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রবাসের আলোকে বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী কালেও এবারের ঈদে আমাদের মসজিদে অন্তত আড়াই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। বর্তমানে মসজিদ সংস্কারের কাজ চললেও প্রতিটা জামাতে নারীদের নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা ছিলো। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নেয়া হয়েছিলো নানা পদক্ষেপ। ঈদের নামাজে আমাদের মসজিদে স্থানীয় সিটি করপোরেশন মেয়রের উপস্থিতি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার বাংলাদেশী ছেলেমেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগনিত হবে বলে আমি মনে করি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *