ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের শক্তির আসল রহস্য

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। এটি আজ মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। আগামীকাল বুধবার সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলে এটি আঘাত হানতে পারে। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৬৫ থেকে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

ইয়াসকে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, সাইক্লোনের নানা প্রকারভেদ রয়েছে। ঝড়ের বেগের নিরিখে ভাগ করা হয় সাইক্লোনকে।

ঝড়ের বেগ যদি ঘণ্টায় ২২২ কিমি বা তার থেকে বেশি হয়, তাহলে তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়। ঝড়ের বেগ যদি ঘণ্টায় ২২২ কি.মি বা তার থেকে বেশি হয়, তাহলে তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়।

ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৬৭-২২১ কি.মি হলে তাকে এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন বলা হয়। ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১১৮-১৬৬ কি.মি হলে, তাকে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন বলা হয়।

ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১৭ কিমি হলে তা সিভিয়ার সাইক্লোন। ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিমি হলে সেটা সাইক্লোনিং স্টর্ম।

ইয়াসের ক্ষেত্রে ঝড়ের বেগ হবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিমি। তাই ইয়াসকে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন বা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে। ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কি.মি।

ঘূর্ণিঝড় হঠাৎ করে তৈরি হয় না। প্রথমে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়। এরপর নিম্নচাপ তৈরি হয়। তারপর তা গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়।

এরপর অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়। পরে সাইক্লোনিং স্টর্ম তৈরি হয়। তারপর সিভিয়ার সাইক্লোন তৈরি হয়। এরপর ধাপে ধাপে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন, এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন, সুপার সাইক্লোন তৈরি হয়। ঝড়ের গতিবেগের ঘূর্ণনের উপর ভিত্তি করে এটা ধার্য করা হয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *