মেসি কি সত্যি সত্যি বার্সেলোনা ছেড়ে যাবেন?

লিওনেল মেসি কি সত্যি সত্যি বার্সেলোনা ছেড়ে যাবেন? ফুটবল দুনিয়ায় এখন এটা কোটি টাকার প্রশ্ন। একে তো ক্লাব ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ঝামেলার কারণে চুক্তি নবায়ন করতে রাজি হননি বার্সা অধিনায়ক, তারওপর বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলের বিশাল লজ্জার পর মেসির ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়া যেন এখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বার্সেলোনা ছেড়ে মেসি কোথায় যাবেন? এরই মধ্যে ইউরোপের অনেকগুলো বড় বড় ক্লাব বিশ্বসেরা এই ফুটবলারকে দলে পেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রগামি ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি।

বায়ার্নের কাছে বার্সার হারের পর খবর বেরিয়েছে, ম্যানসিটি মেসিকে কিনতে প্রয়োজনে তার রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো (সাত হাজার কোটি টাকা) পুরোপুরি দিতেও রাজি। কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে মেসির ম্যানসিটিকে ফলো করা থেকেই বোঝা যাচ্ছিল সিটি-মেসি লিংকআপের কথা। তেমনটা হলে পুরনো কোচ পেপ গার্দিওলার সঙ্গে জুটি বাধবেন মেসি। আবারও হয়তো পুরনো ফর্মে ফিরে যেতে পারবেন বিশ্বসেরা এই ফুটবলার।

কিন্তু তার আগেই মেসিকে সতর্ক করে দিয়েছেন তার জাতীয় দলের সতীর্থ গঞ্জালো হিগুয়াইন। বলেছেন, ‘মেসি কখনোই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যেও না। ওখানে যেভাবে শারীরিক খেলার প্রদর্শনী হয় এবং ফাউল করা হয়, তাতে তোমার পা’টাই ভেঙে যাবে। অবাক করা বিষয় হলো, এগুলোকে ফাউল হিসেবেও ধরা হয় না।’

২০১৮-১৯ মৌসুমে চেলসির হয়ে খেলেছিলেন হিগুয়াইন। এরপর তিনি যোগ দেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। ফক্স স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে আমাকে অনেক বেশি ভুগতে হয়েছে। প্রথম ৬ মাস তো আমি নিজেকে মানিয়েই নিতে পারিনি সেখানে। লা লিগার সঙ্গে এটাকে তুলনাই করা যায় না। এখানে ডিফেন্ডাররা খুবই কঠোর এবং অভদ্র। প্রচণ্ড জোরে লাথি মারে। অথচ, এটার জন্য রেফারি বাঁশিই বাজায় না। যেটা স্পেনে করা হয়।’

মেসি যদি প্রিমিয়ার লিগে যান, তাহলে কি হতে পারে সেটা চিন্তাই করতে পারছেন না হিগুয়াইন। তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারছি না, এটা মেসির ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে। আমি চিন্তাও করতে পারছি না, সে কতটা ভুগতে পারে। যখন সে অন্য লেভেলের ফুটবল খেলে।’

হিগুয়াইন মনে করেন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গেলে মেসি কোনোভাবেই হ্যাপি হতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, এই মুহূর্তে মেসি কি চিন্তা করছেন। তবে আমি মনে করি, যেটা তাকে হ্যাপি করতে পারে, সেটা নিয়েই সে সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *