মনোনয়ন বাণিজ্য বিএনপির ভবিষ্যতের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে: জাফরুল্লাহ

বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণেই নির্বাচন এলে বেড়ে যায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কখনো কখনো তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। যদিও এ নিয়ে দলের নেতাদের ভেতরেই রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মনোনয়ন বাণিজ্যের কথা অনেকেই সরাসরি বলতে রাজি না হলেও শীর্ষ নেতারা বলছেন, এ ধরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

ছোটখাটো দলীয় সংঘর্ষকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখছেন তারা। এদিকে, বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, বিভেদ মেটাতে আর্থিক লেনদেন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বিএনপিকে।

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অনেকটা কোণঠাসা থাকলেও দলীয় কোন্দলের কারণে এবার আলোচনায়। সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে না উঠতেই নানা অভিযোগে বিভেদ এখন প্রকাশ্যে এসেছে দলটিতে। ছোটখাটো কোন্দল রূপ নিচ্ছে সংঘর্ষে।

ক্যামেরার সামনে কথা বলতে না চাইলেও দলটির অনেক নেতাকর্মী মনে করেন দলীয় কোন্দল মূলত অযোগ্যদের মূল্যায়ন ও যেকোনো নির্বাচনকে ঘিরে শীর্ষ নেতাদের মনোনয়ন বাণিজ্যই দায়ী।

ছোটখাটো সংঘর্ষকে স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করলেও মনোনয়ন বাণিজ্যকে উড়িয়ে দিলেন বিএনপির অন্যতম নীতিনির্ধারক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, চাহিদা পূরণ না হলেই অভিযোগ আসে দলের ভেতর থেকেই।

তবে বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখতে অনৈতিক পথ থেকে বের হয়ে আসতে হবে বিএনপিকে। অর্থের বিনিময়ে প্রার্থিতা দেয়ার সংস্কৃতি বিএনপির ভবিষ্যতের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে বলেও মত তার।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘যা রটে তার কিছুতো বটেই। কিছু না হলে এটা রটবে কেন? গণতন্ত্রের চর্চাটা না থাকার কারণে এটা হচ্ছে।’

এধরণের কোন্দল বা অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বের হয়ে আসতে গেলে গণতান্ত্রিক উপায়ে দলীয় কাউন্সিলের বিকল্প নেই।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *