ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের পথে বাহরাইন

ইসরায়েলের সাথে আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ৷ সে রেশ কাটতে না কাটতেই এবার একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ বাহরাইন৷

দীর্ঘ দিন ধরেই এ অঞ্চলের মুসলিম দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ শুক্রবার তিনি বাহরাইনের সাথে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি ঘোষণা করেন৷

এর আগে কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ইসা আল খলিফার সাথে ফোনালাপ হয় তাঁর৷

এক যৌথ বিবৃতিতে এ তিন দেশের প্রধান জানান ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’৷ ইসরায়েল-বাহরাইনে মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে তারা মনে করেন৷

বুধবার হোয়াইট হাউসে এ বিষয়ক আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হবে৷৷ মার্কিন প্রসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স হামাদ বিন ইসা আল খলিফা ও আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন৷

মধ্যপ্রাচ্যেরদেশগুলোরপ্রতিক্রিয়া

কূটনৈতিক এ চুক্তির খবরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ৷ তবে চুক্তিকে স্বাগতও জানিয়েছে অন্যরা এ চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়াবে বলে দাবি করেছেন৷

ফিলিস্তিন

কূটনীতি শুরুর এ চুক্তিকে আরব দেশগুলোর বিশ্বাসঘাতকতা বলে নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন৷ পশ্চীম তীরের সমাজ বিষয়ক মন্ত্রী আহমাদ মাজদালানি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন ‘‘গত মাসে হওয়া আরব আমিরাত চুক্তির মতোই বাহরাইনের এ চুক্তিটি ফিলিস্তিনের জনগণের ও তাঁদের উদ্দেশ্যের ওপর ছুরিকাঘাত৷”

তুরস্ক

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের স্বার্থের ওপর এ চুক্তিটি একটি বড় আঘাত৷ কূটনৈতিক সম্পর্কের এ পদক্ষেপ ইসরায়েলকে এ অঞ্চলে বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে সমর্থন দেবে এবং ফিলিস্তানে স্থায়ী দখলদারিত্বের পথ তৈরি করবে বলেও মনে করে দেশটি৷

ইরান

চুক্তির সংবাদ প্রকাশের পর বাহরাইনকে ইসরায়েলের ‘অপকর্মের সহযোগী’ বলে উল্লেখ করেছে ইরান৷ এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এখন থেকে বাহরাইন ইহুদিবাদি সরকারের সব অপকর্মের সহযোগী, যারা এ অঞ্চলের জন্য হুমকি৷

মিশর

মধ্যপ্রাচ্যে দুটি দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক রয়েছে কেবল দুটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের৷ দেশ দুটি হচ্ছে মিশর ও জর্ডান৷ বাহরাইন ও ইসরায়েলের এ সম্পর্ককে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি৷ এক টুইটে তিনি বলেন, চুক্তিটি এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে৷

আরবআমিরাত

চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের বিবৃতিতে বলা হয় ‘‘এ পদক্ষেপ নিরাপত্তা ও উন্নয়নের একটি নতুন যুগের সূচনা করবে এবং অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞান চর্চার সুযোগকে সমৃদ্ধ করবে৷” DW



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *