ফ্রান্সে সিটি নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা আজ; বাংলাদেশী প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা
দীর্ঘ লকডাউন শেষে আজ রোববার ফ্রান্সে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ফরাসিরা বাছাই করবেন তাদের নগর সেবকদের। এর আগে ১৫ মার্চ প্রথম দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২২ মার্চ হওয়ার কথা ছিলো দ্বিতীয় দফা নির্বাচন। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে পুরো দেশ লকডাউনে থাকায় নির্বাচনের পরবর্তী তারিখ ২৮ জুন নির্ধারণ করা হয়। এবারের নির্বাচনে প্রথম বারের মতো অন্তত ১২ জন বাংলাদেশী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের অধিকাংশই দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের একজন ফেরদৌস নয়ন। তিনি প্যারিস-১০ থেকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কছেন। প্রবাসের আলোর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, সব ঠিক থাকলে এবারের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। ফ্রান্সে একজন বাংলাদেশী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারাটাও কম নয়। কারণ নির্বাচনী প্রচারণার সময় মেয়র প্রার্থী যখন সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় আমাকে বাংলাদেশী বলে উল্লেখ করে তখন আমার বুক গর্বে ভরে ওঠে।
প্যারিসের উপকণ্ঠ-স্যাভরন থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি প্রবাসের আলোকে বলেন, জয়-পরাজয় বড় কথা না। আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফ্রান্সে বাংলাদেশ কমিউনিটির পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি পথ দেখিয়ে গেলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভবিষ্যতে এমপি-মন্ত্রী হয়ে প্রবাসে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। তার প্যানেল প্রথম পর্বে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ও পর্বে জয়লাভ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সেইন্ট দেনিস এলাকা থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া শরুফ সাদিউল বলেন, এবার নির্বাচনে আমাদের প্যানেল জয়লাভের ব্যাপারে আমি বেশ আশাবাদী। কারণ আমরা প্রথম পর্বে এগিয়ে আছি। তিনি আরও বলেন, আমার প্যানেল জয়লাভের মাধ্যমে সেইন্ট দেনিস এলাকার একশ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করবে। কারণ বর্তমান ক্ষমতাসীনরা টানা একশ বছর ধরে এই এলাকায় নির্বাচিত হয়ে আসছে।
ইতোমধ্যে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন মার্সেই, লিয়ন, টলাউস, স্ট্র্যাসবুর্গ এবং বোর্দাক্সের পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৩০,০০০ মেয়র। যারা ১৫ মার্চ নির্বাচনের প্রথম দফায় সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে নির্বাচিত হয়েছেন।