যে কারণে অজান্তেই মানবদেহ গ্রাস করছে নানা রোগ

নিরাপদ পানি নিশ্চিত না হওয়ায় অজান্তেই মানবদেহকে গ্রাস করছে দীর্ঘমেয়াদী নানা রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, চর্মরোগ সহজে শনাক্ত হলেও ধীরে ধীরে ক্ষতির শিকার হচ্ছে বিরাট এক জনগোষ্ঠী। পানিজনিত স্বাস্থ্যগত সমস্যা এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে বিরাট বাধা বলেও মনে করেন তারা।

সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ বলছে, নিরাপদ উৎস ও বেশি পরীক্ষাগার তৈরির মাধ্যমে ২০৩০ সালের আগেই শতভাগ নিরাপদ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

দেশের গভীর-অগভীর নলকূপগুলোতে কোথাও আর্সেনিক, কোথাও আয়রনসহ নানা ক্ষতিকর উপাদানের বাস। স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি ওঠে না। ফলে উপকূলসহ অনেক জায়গায় অসংখ্য টিউবয়েল পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। বাধ্য হয়েই ব্যবহার করতে হয় দূষিত পানি।

ঢাকাসহ বড় শহরে পাইপলাইন ও ফিল্টারের পানিতে ব্যাকটেরিয়া, ই-কোলাইসহ ক্ষতিকর নানা উপাদানের অস্তিত্ব মেলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ফিল্টার পানির নামে সরাসরি সরবরাহের পানি বিক্রি হয়। নৌযান, নদী তীরবর্তী জনপদে অনেকেই পানির মান নিয়ে উদাসীন।

বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট সবচেয়ে তীব্র হয় বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়। সাময়িক পদক্ষেপ জটিল ও ব্যয়বহুল হওয়ায় এলাকাভিত্তিক দীর্ঘস্থায়ী পানি ব্যবস্থাপনার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

ঢাবির অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান বলেন, বন্যা, খরা এরকম কিছু পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে সাপ্লাইয়ের পানিতে বা নদী নালার পানিতে পানিপাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।

পানি বিশেষজ্ঞ ম ইনামুল হক বলেন, ‘একটু উঁচুতে টিউববয়েল করা দরকার। যাতে ভিটামাটি পানিতে ডুবে গেলেও টিউবওয়েল ডুববে না।’

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, বৃষ্টি ও নদীর পানি সংগ্রহ এবং শোধনাগারের সংখ্যা বাড়ানোসহ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার কথা।

এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে নিরাপদ পানিকে ৬ নম্বরে রাখা হয়েছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *