ফ্রান্স-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ফ্যামিলি ডে
চারদিক ছবির মতো সুন্দর। বন পেরিয়ে, মাঠ পেরিয়ে পিকনিকের বাস থামলো এথ্রেত সমুদ্র সৈকতের অদুরে। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আন্দোলিত হলো প্রতিটি প্রাণ। বিশেষকরে শিশুদের আনন্দ চোখে পড়ার মতো। ইতোমধ্যে সময় হয়েছে দুপুরের খাবার। হইহুল্লোড় করে যে যার মতো ছুটলো খাবার জায়গায়। ক্লাবের ভোজন রসিক সদস্যরা
কবজি ডুবিয়ে নিমিষেই শেষ করলো খাবার পর্ব।
এবার ঘোরাঘুরির পালা। রোববার ফ্রান্স-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের বার্ষিক ফ্যামিলি ডে’র অনুষ্ঠানে দলবেঁধে সবাই ছুটলো সৈকতপানে। সৈকতের দু’ধারে পাহাড় আর মাঝখানে বিস্তৃত জলরাশি চোখে পড়তেই মনের ভেতর তৈরি হলো অন্যরকম অনুভূতি। যা ছেলে, বুড়োসহ সব বয়সী নারী-পুরুষকে বাধ্য করলো সমুদ্রে নামতে। গর্জন করা প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় পানি থেকে তীরে আছড়ে পড়তে দেখা গেলো অনেককে। আবার কেউ উঠলো পাহাড়ের চুড়ায়। সেখান থেকে দেখা দুরের দৃশ্য সত্যি মনোমুগ্ধকর।
নির্ধারিত সময়ে একত্রিত হয়ে শুরু হলো ক্রিড়া প্রতিযোগিতা। শিশুদের বিস্কুট দৌড়, নারীদের বেলুন ফোটানো আর পুরুষের মোরগ লড়াই ছিলো উল্লেখযোগ্য।বিজয়িদের পুরস্কার বিতরণের পর এবার ফেরার পালা। সবাই বসলো যার যার আসনে। শুরু হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় শিল্পীদের গানে প্যারিস পৌঁছনো পর্যন্ত মুগ্ধ হলো সবাই। মাঝখানে র্যাফেল ড্র আনন্দের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিলো। সকাল নয়টায় প্যারিসের গার দ্যু নর্দ থেকে শুরু হওয়া ভ্রমণ এথ্রেত ঘুরে রাত দশটায় গার দ্যু নর্দ এসে শেষ হলো।
ফ্রান্স-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুকের তত্ত্বাবধানে বার্ষিক ফ্যামিলি ডে’র অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু তাহির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নয়ন মামুন, সভাপতি ফেরদৌস করিম আখঞ্জি ও সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন সাইফুল।