পুরনো চেহারায় কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজধানীবাসী

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। জীবিকার তাগিদে পুরোদমে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজধানীবাসী। ফলে ফাঁকা হয়ে যাওয়া ঢাকা ফের পুরনো চেহারায় ফিরছে। নগরীর প্রবেশপথগুলোতে রয়েছে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ।

গত কয়েকদিন তুলনামূলক কম যাত্রী থাকলেও বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সেই চাপ বেশি ছিল। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে গত কয়েকদিনের তুলনায় রাজধানীর সড়কেও বেড়েছে যানবাহন।

সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পরিবহনের সংখ্যা ছিল বেশি। দূর-দূরান্তের মানুষ বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঢাকায় ফিরছেন। রাজধানীর সদরঘাট, গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদে বাস টার্মিনালসহ ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে ছিল মানুষের ভিড়। এসব জায়গায় কর্মজীবী মানুষের রাজধানীতে ফেরার দৃশ্য দেখা যায়। ট্রাফিক মোড়গুলোতেও ব্যস্ততা বাড়ছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের।

জানতে চাইলে ঢাকা-নোয়াখালী রুটে চলাচলরত হিমাচল পরিবহনের ম্যানেজার মনির উদ্দিন বলেন, ‘গত দুই দিনের মতো আজও মানুষের ভিড় ছিল। তবে এই ঈদের ফিরতি যাত্রায় আগামীকাল শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি রয়েছে। যারা এখনও ফেরেননি তারা আগামী দুই দিন ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরবেন। তখন আরও ভিড় বাড়তে পারে। তবে অন্যান্য বছরের মতো এই ঈদে তেমন ভিড় নেই।’

সকালে নগরীর রাজারবাগ, ফকিরাপুর, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, শাহবাগ, বাংলামটর, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, ধানমন্ডি ২৭ ও ৩২-সহ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। এসব এলাকায় মানুষের উপস্থিতিও ছিল বেশি। কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারায় দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, ‘আগের কয়েকদিনের তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিটি গাড়িকে কয়েক মিনিট সিগন্যালে দাঁড়াতে হচ্ছে।’

ঠিকানা পরিবহনের চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। অফিস আদালত চালু হয়ে গেছে। সড়কে যাত্রীর পাশাপাশি পরিবহনের সংখ্যাও বেড়েছে। আগামীকাল থেকে যাত্রী ও পরিবহনের সংখ্যা আরও বাড়বে।’

এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আগের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। তাই মালিকরাও পরিবহনের সংখ্যা বাড়িয়েছেন। যাত্রী অনুযায়ী আগামী দিনগুলোতে পরিবহনের সংখ্যাও বাড়বে।’



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *