সৌদির নিন্দায় ২৯টি দেশ

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে সৌদি আরবের নিন্দায় সোচ্চার হলো ২৯টি দেশ। নারী অধিকাররক্ষা কর্মীদের আটক করা এবং খাসোগি হত্যা নিয়ে সৌদির ভূমিকার নিন্দা করেছে তারা।
অন্তত পাঁচজন নারী অধিকাররক্ষা কর্মীকে আটক করে রেখেছে সৌদি আরব। তার মধ্যে মেয়েদের গাড়ি চালাতে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার লুইজিন আলহ্যাথলোলও আছেন। ২০১৮ পর্যন্ত সৌদিতে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ২৯টি দেশ যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘সৌদি আরবে যথেচ্ছভাবে মানুষকে আটক করা, তাদের নির্যাতন করা, আটকদের উধাও হয়ে যাওয়া, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না দেয়ার ঘটনায়, আমরা ক্ষুব্ধ।’’ এই ২৯টি দেশের অধিকাংশই পশ্চিমা দেশ।

ইইউ-র পক্ষ থেকে কাউন্সিলে বলেন জেনিভায় জাতিসংঘে জার্মানির দূত উর্গেন স্টেনবার্গ। তিনি সৌদি আরবকে অবিলম্বে আটক মহিলা অধিকাররক্ষা কর্মীদের মুক্তি দিতে বলেন। তাঁর দাবি, খাসোগি মামলায় আরো স্বচ্ছতা আনতে হবে।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এখন বিপুল সংখ্যক ছাত্রীকে স্কুলে যেতে দেখা যায়৷ কিন্তু আজ থেকে ৬২ বছর আগে চিত্রটা এমন ছিল না৷ সৌদি আরবে মেয়েদের প্রথম স্কুল দার আল হানান৷ আর রিয়াদ কলেজ অফ এডুকেশন সৌদি নারীদের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি চালু হয় ১৯৭০ সালে৷

সম্প্রতি খাসোগি মামলায় আটজন দোষী বলে রায় দিয়েছে আদালত। সৌদি সরকার জানিয়েছে, এই হত্যার সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সলমনের কোনো যোগ নেই। কিন্তু এই ২৯টি দেশের দাবি, সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যার বিষয়ে সৌদিকে আরো স্বচ্ছ হতে হবে ও প্রকৃত তথ্য জানাতে হবে।

সৌদি আরব ২০১৭ থেকে ১৯ পর্যন্ত মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য ছিল। তারা আবার সদস্য হতে চায়। মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, সৌদিকে আগে কাউন্সিলের সুপারিশ মানতে হবে। তারপর তারা যেন সদস্য হওয়ার কথা ভাবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *