ফ্রান্সে আসছে কঠোর আইন

চরমপন্থীদের মোকাবিলায় কড়া আইন চান ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ। এ বার পার্লামেন্টে এই বিল আনা হবে। সেই বিলের কিছু প্রস্তাবিত ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই। যেমন, মসজিদগুলিতে কীভাবে অর্থ আসছে, তা দেখা হবে। ধর্মীয় সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্ক্রুটিনি হবে।

কিন্তু এরপর বিতর্কের ঝড় তুলেছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি একটি সংবাদপত্রকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ফ্রান্স এখন চরমপন্থী মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। আর প্রস্তাবিত বিল নিয়ে তাঁর বক্তব্য, কোনো পুরুষ যদি চিকিৎসকের কাছে যান এবং বলেন মহিলা ডাক্তারের কাছে তিনি চিকিৎসা করাবেন না, তা হলে পাঁচ মাসের জেল ও ৭৫ হাজার ইউরো জরিমানা হবে। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে মেয়েদের ক্ষেত্রেও। কোনো সরকারি কর্মকর্তার উপর চাপ সৃষ্টি করলে বা কোনো শিক্ষকের কাছে পড়তে না চাইলেও শাস্তি হবে।

গত ২১ অক্টোবর প্যাটিকে মরনোত্তর লিজিয়ন অফ অনারে ভূষিত করে প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ বলেন, ”আমরা কার্টুন ছাড়বো না৷ ইউরোপীয় গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধকে রক্ষা করতে গিয়ে প্যাটি জীবন দিয়েছেন । তিনি এই প্রজাতন্ত্রের মুখ।”
এরপরেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। বিশেষ করে চিকিৎসক বা নার্সের কাছে চিকিৎসা নিতে অস্বীকার করলে জেলে যেতে হবে, বিপুল ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই ব্যবস্থার সমালোচনায় মুখর হন নেটিজেনরা।

এই বিল আনা হবে ডিসেম্বরে। ১৯০৫ সালে রাষ্ট্র থেকে চার্চকে আলাদা করতে আইন আনা হয়েছিল। সেই আইনকেই সংশোধন করে নতুন ব্যবস্থাগুলি ঢোকানো হবে।

তবে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য নতুন নয়। স্যামুয়েল প্যাটির হত্যার পর তিনি বলেছিলেন, সুপারমার্কেটে হালাল ও কোশার খাবার দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। তাঁর কাছে, এটাও বিচ্ছিন্নতাবাদের উদাহরণ।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *