গ্রিসের শরণার্থী শিবিরে আবার আগুন

গ্রিসের শরণার্থী শিবিরে নতুন করে আগুন লেগেছে। ছাই হয়ে গেছে আরও কয়েকটি শিবির। সমালোচকদের মতে, ইইউ-র শরণার্থী নীতি বদল করা উচিত।

বুধবার রাতে নতুন করে আগুন লাগে গ্রিসের শরণার্থী শিবিরে। মঙ্গলবার রাতের আগুনে অনেকগুলি শিবির পুড়ে গেছিল। উদ্বাস্তুরা পালিয়েছিলেন। এ বার বাকি শিবিরগুলিও পুড়ে গেল।

আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট ছিল, শরণার্থীরাই শিবিরে আগুন লাগিয়েছেন। কারণ, লকডাউনের কড়াকড়ি নিয়ে তাঁরা অত্যন্ত অখুশি ছিলেন। একজন শরণার্থীর করোনা হওয়ার পর এই শিবিরগুলিতে কঠোরভাবে লকডাউন চালু করা হয়েছিল। আগুন লাগার পর সরকার যে তদন্ত শুরু করেছে, তাতে শরণার্থীরাও সন্দেহের বাইরে থাকছেন না। তাঁরাই আগুন লাগিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রীও আগুন লাগানোর তত্ত্বে বিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে এ কথা মানতেই হয় যে, শরণার্থীদের কোয়ারেন্টিন করার পরই আগুন লাগল। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার যে বেআইনি কাজ হয়েছে, তা বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের শাস্তি দেয়া হবে। যাঁরা আশ্রয়প্রার্থী, তাঁদের আইনশৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে।

ইউএনএইচসিআরের হিসেবে, ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত সংঘাত ও যুদ্ধের কারণে ঘরহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় আট কোটি (৭.৯৫ কোটি)৷ এর অর্থ বিশ্বের প্রতি ৯৭ জনে ১ জনকে জোরপূর্বক ঘর ছাড়া করা হয়েছে৷ ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল চার কোটি দশ লাখ৷ অর্থাৎ এক দশকে প্রায় দ্বিগুণ মানুষ এমন নিয়তির শিকার হয়েছেন৷

তবে সমালোচকরা গ্রিক কর্তৃপক্ষ ও ইইউ-র কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, শরণার্থীদের শিবিরগুলিতে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছিল। আগুন লাগার সময় শিবিরগুলিতে ১২ হাজার উদ্বাস্তু ছিলেন। অথচ, থাকার কথা তিন হাজারের মতো।

জার্মানির গ্রিন পার্টির নেতা এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য এরিক মারকোয়ার্ট ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ”এই আগুন হলো ইউরোপের রাজনৈতিক বিপর্যয়ের প্রতীক। ২০১৫ সালে শরণার্থী সংকটের ঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। এই ধরনের ঘটনা যে কোনো সময় আবার অন্য শিবিরে হতে পারে।” তাঁর প্রশ্ন, ”আর কী হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্যবস্থা নেবেন?”



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *