কমেছে সংখ্যা বিপন্ন অস্তিত্বে ধুকছে ‘বাংলার রাজা বাঘ’

বিশ্ব বাঘ দিবস (২৯ জুলাই) বুধবার। প্রতিবছর কেন্দ্রীয়ভাবে যেমন দিবসটি নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত তেমনি সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে পৃথক কর্মসূচি পালিত হয়। তবে এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কারণে কেন্দ্রীয়ভাবে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পালিত হবে দিবসটি।

বুধবার বেলা ১১ টায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দীন এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। এতে যুক্ত হবেন বন ও পরিবেশ উপ-মন্ত্রী হাবিবুন্নাহার এমপি। সভাপতিত্ব করবেন প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমির হোসেন চৌধুরী।

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে গত ২০ বছরে নানা কারণে ৩৮টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ১ বছরে মারা গেছে তিনটি বয়স্ক বাঘ। বন বিভাগ জানিয়েছে, বাঘ তিনটি অসুস্থতা এবং বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে।

বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০০১ থেকে ২০২০ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে ২২টি এবং পশ্চিম বিভাগে ১৬টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। চোরা শিকারির হাতে, সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে বের হয়ে আসায় গণপিটুনির শিকার হয়ে, ঝড়-জলোচ্ছাসের আঘাতে এবং অসুস্থ হয়ে ও বার্ধক্যজনিত কারণে বাঘ মারা যাচ্ছে।

২০১৮ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুসারে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। তবে ২০২০ সালে এসে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমেছে না বেড়েছে সে সম্পর্কে জানাতে পারেনি বন বিভাগ।

বনবিভাগ জানিয়েছে সুন্দরবনে বাঘসহ বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোট ছয় লাখ এক হাজার ৭০০ হেক্টর বনের মধ্যে এখন তিন লাখ ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টর অভয়ারণ্য এলাকা। আগে যা ছিল মাত্র এক লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ হেক্টর। ২০১৭ সালে সরকার সুন্দরবনে অভয়ারণ্য এলাকা সম্প্রসারণ করে। সুন্দরবনে বাঘের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহল ফাঁড়ির কার্যক্রমের পাশাপাশি স্মার্ট পেট্রোল করা হচ্ছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের তথ্য মতে, ২০০১ থেকে ২০২০ সালের ৩ পর্যন্ত সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্নভাবে ২২টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের তথ্য মতে, ২০০১ থেকে ২০২০ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত পশ্চিম বিভাগের আওতাধীন এলাকায় ১৬টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *