কবি আবু বকর সিদ্দিকের একগুচ্ছ গান

কবি আবু বকর সিদ্দিকের একগুচ্ছ গান

মায়ের ভূবণ (গান)

মায়ের ভূবণ সে যে মায়ার ভরা,
যেথানে থাকেনা কোন দৈন্য জরা ।।

মায়ের জীবন এক ঝর্ণা ধারা,
বয়ে চলে অবিরত বাঁধন হারা।
মায়ের হাঁসিতে হই পাগল পারা,
যার ছোয়ায় ধন্য এ সুন্দর ধরা।।

মায়ের ভালোবাসার এমন ধরন,
মা ই শুধু পাশে খাকে সারা জীবন।
মায়ের শাসন করে মন্দ হরণ,
সন্তান চায় মায়ের কোলে মরণ।।

মায়ের তুলনা শুধুই মা
চলেনা তার সাথে কোন উপমা।
বিপদের সহায়, সাহস মা,
মাকে ভালোবেসে, হব আত্মহারা।।

মা আমেনার কোলে (নাতে রাসুল)

মা আমেনার কোলে যেন নেমে এলো চাঁদ,
মিষ্টি হেঁসে আল্লাহ্ নাম জপে মোহম্মদ।।

যে নাম সবার পথ দেখালো, আযান হয়ে ঘুম ভাঙালো,
ও নাম জপে সকল মুমিন করে ফরিয়াদ।
যে নাম নিয়ে পেয়ে ছিল মাফ আদম ও হাওয়া,
সে নাম গেয়েই আমরা খোদার প্রিয় উম্মত।।

যার নামের নেয়ামতে খোদার অপার মহিমা,
যে নামের খুঁশবুতে ভরা দিল দরিয়া।।
জী্বনে মরনে সে নাম জপি অবিরত,
ঐ নামেই লুকানো স্রষ্ঠার শ্রেষ্ঠ কুদরত।।

কৃষকের ব্যথা
(শিশুতোষ কবিতা)

কৃষক দেশের প্রাণ রে ভাই, কুষক দেশের রাজা,
তারা কেন জনম,জনম,খাঁটছে বৃথা সাজা?

রোদ,বৃষ্টি, ঝড়ের সাখে নিত্য বসবাস,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে করেন তারা চাষ।
ফসলের দাম পায়না সঠিক,পায়না সম্মান,
তারাই আসল মহারাজা,সবার দয়া করেন দান।

রাজা,বাদশা, বাবু, সাহেব তাদের দয়ায় চলে,
সব শক্তি হবে বিকল, যদি ফসল না ফলে।
তাদের করুণ দশা ঘুঁচবে কবে ভাই,
স্রষ্ঠা ছাড়া হয়ত,কারো জানা নাই।

দূর্যোগে হয় ফসল নষ্ট ক্ষতির পাল্লা ভারি,
সব কিছু নেয় মাথা পেেতে,বোঝেনা খবরদারি।
তাদের চেয়ে এতবড় কে আছে মহান,
হয়না কেন তাদের জীবনের উত্থান?

একটি বিজয় (কবিতা)

মহা উচ্ছাসে শুনি যেন কার বজ্র কণ্ঠ ধ্বনী,
জাগো বাঙালী বুঝে নাও, তোমার অধিকার যতখানি।

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে নেমে এসো রাজ পথে,
আর নয় কোন পরাজয়, রুখে দাঁড়াও এক সাথে।
আমাদের রক্ত চুষে খেয়ে আবার,বুকে হানে পদাঘাত,
সে সুযোগ আর পাবেনা তোমরা, আরা শিখেছি প্রতিবাদ।

ঘরে,ঘরে দূর্গ গড়ো, জুলুম গুড়িয়ে দাও,
মাথা উঁচু করে বাঁচতে হবে,দৃঢ় শপথ নাও।
গোলামির জিজ্ঞির ছিড়ে,উন্নত শিরে বাঁচো,
আর নয় কোন সন্ধি বন্ধু,বিজয় ছিনিয়ে হাঁসো।

আমাদের শুধু চাওয়া,পাওয়া, এক স্বাধীন বাংলাদেশ,
রক্ত দিয়েছি আরো দেব,চাওয়া বিজয় সর্বশেষ।

মসজিদে চল ও নামাযি (হামদ)

মসজিদে চল ও নামাযি পড়বি নামায প্রাণ খুলে,
দেখবি খোদা তোকে দেবে, তার নেয়ামত হাতেতুলে।।

তার রহমত বোঝা কঠিন,বোঝে শুধু মুমিন গণ,
মোমিন হয়ে অর্জন কর তুই, সেই সে শ্রেষ্ঠ ধন।
নামায গোরের আলো হয়ে পথ দেখাবে তোরে,
ফন্দি ফিকির ভুলে ভাই, স্রষ্ঠাকে ডাক প্রাণ খুলে।।

জুয়া, চুরি, মিথ্যাচার রবে নাকো চিরদিন,
থাকবে শুধু কর্ম রে ভাই, হয়ে অমলিন।
তোর পাপের ভার কেউ নেবে না, দেবে কাঁধে তুলে,
মসজিদে চল ও নামাযি,পড়বি নামায সব ভুলে।।

মাগো ফুলের হাসি গান

তুচছ মাগো ফুলের হাসি,তোমার হাসির কাছে,
প্রাণ খুলে আজ হাঁসো ও মা বসে অামার পাশে।।

কতদিন দেখিনা সেই মধু মাখা হাঁসি,
যে হাঁসি দেখে আমি পরতে পারি ফাঁসি।
ব্যথায় ভরা দিন যখন যায় অাঠারো মাসে,
তোমার অসীম দরদ তখন দু নয়নে ভাসে।।

তোমার ছোয়ায় ধন্য মাগো সুন্দর এই ধরা,
হেঁসে খেলে গান গেয়ে তাই হই দিশেহারা।
দেথতে চাই সে হাঁসি মুখ জনম,জনম হেঁসে,
মৃত্যু কে ও জয় করব মা,তোমায় ভালোবেসে।।

যে দেশের মানুষ (দেশত্ববোধক গান)

যে দেশের মানুষ দেশের জন্য রক্ত দিয়ে হাঁসে,
যে দেশের মানুষ প্রাণের চেয়ে দেশকে ভালোবাসে,
সেই আমাদের পূণ্যভূমি জন্মভূমি বাংলাদেশ।।

যে দেশের সোনার মাটিতে সোনার ফসল ফলে,
যে দেশের সকল মানুষ বাংলায় কথা বলে,
সেই আমাদের প্রিয় ভূমি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।।

যে দেশেতে শাপলা শালুক বিলের জলে ভাসে,
পাখ পাথালি সাগর নদি প্রাণ খুলে হাঁসে।
যে দেশের রাঙা বধূ কলসি কাঁখে পুকুর ঘাটে অাসে,
যে দেশের নানান জাতি এক কাতারে মেশে।
সেই আমাদের মাতৃভূমি প্রেমময়ী বাংলাদেশ।।

যে দেশের মানুষ (দেশত্ববোধক গান)

যে দেশের মানুষ দেশের জন্য রক্ত দিয়ে হাঁসে,
যে দেশের মানুষ প্রাণের চেয়ে দেশকে ভালোবাসে,
সেই আমাদের পূণ্যভূমি জন্মভূমি বাংলাদেশ।।

যে দেশের সোনার মাটিতে সোনার ফসল ফলে,
যে দেশের সকল মানুষ বাংলায় কথা বলে,
সেই আমাদের প্রিয় ভূমি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।।

যে দেশেতে শাপলা শালুক বিলের জলে ভাসে,
পাখ পাথালি সাগর নদি প্রাণ খুলে হাঁসে।
যে দেশের রাঙা বধূ কলসি কাঁখে পুকুর ঘাটে আসে,
যে দেশের নানান জাতি বন্ধু হয়েএক কাতারে মেশে।
সেই আমাদের মাতৃভূমি প্রেমময়ী বাংলাদেশ।।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *