আসামি ব্যাংকক-আইনজীবী লন্ডনে-বিচারক ঢাকায়, তবুও শুনানি!

এ যেন মামা বাড়ির আবদার। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশ ছাড়ার পর ব্যাংককে বসে হত্যাচেষ্টা মামলায় আগাম জামিন চেয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন দুই আসামি। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো তাদের আইনজীবী শুনানি করেছেন লন্ডনে বসে। পলাতক আসামির এমন আবেদনকে বেআইনি উল্লেখ করে সময় নষ্ট করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকার উচ্চ আদালত। খবর সময় সংবাদের।

দেশের উচ্চ আদালতে আগাম জামিন যখন বন্ধ তখন ব্যাংককে বসে পলাতক দুই আসামির আগাম জামিন আবেদনকাণ্ডে দিনভর আলোচনায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সাড়ে দশটার পর ভার্চুয়াল কোর্টে শুরু হয় শুনানি। লন্ডনে বসে আসামিদের পক্ষে জামিন চান তাদের এক আইনজীবী। আসামিদের অবস্থান তখন ব্যাংকক।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পলাতক কোনো আসামির নজিরবিহীন এমন আবেদনে কি আদেশ হয় জানার জন্য অপেক্ষায় থাকেন আইনজীবীরা।বিচারপতি ঢাকায়, আসামি ব্যাংককে ও তার আইজীবী লন্ডন থেকে দীর্ঘ শুনানি হয়। শুনানি শেষে আবেদনটিকে বেআইনি বলে মত দেন উচ্চ আদালত। আর কোর্টের সময় নষ্ট করায় দুই আসামিকে করা হয় ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

আগাম জামিন বন্ধ থাকায় দেশের অনেক আসামি যখন এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তখন দেশের বাইরে পলাতক দুই আসামির পক্ষে জামিন চাওয়ায় আইনজীবীদের সমালোচনা করেন উচ্চ আদালত। যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ।

ঋণ দেয়া-না দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও ডিএমডিকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে শিকদার গ্রুপের এমডি রন হক শিকদার ও দিপু হক শিকদারে বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হলে ২৫ মে করোনা মহামারির মধ্যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশ ছাড়েন শিকদার পরিবারের এই দুই সদস্য।

দেশের বাইরে থেকে পলাতক কোনো আসামির আগাম জামিন আবেদন বিচার বিভাগের ইতিহাসে এটাই প্রথম। এমনকি তাদের পক্ষে লন্ডন থেকে এক আইনজীবী শুনানি করেন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *