১৩ ঘণ্টায় উদ্ধার : ক্যামেরার মুখোমুখি সেই সুমন ও আক্কাস

লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর সুমন বেপারির জীবিত উদ্ধার হওয়া নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। নৌ-পুলিশ সদস্য আক্কাসের চেহারার সঙ্গে সুমন ব্যাপারির চেহারায় মিল থাকায় দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক। বিষয়টি যাচাই করতে সময় সংবাদ আক্কাস ও সুমনকে মুখোমুখি হাজির করে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বলছেন, জীবিত উদ্ধার হওয়া সুমন সদরঘাটেই ফল বিক্রি করেন।

গত ২৯ জুন সকালে সদরঘাটে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনার ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হন সুমন বেপারী। পানির নিচে ১৩ ঘণ্টা জীবিত থাকা নিয়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্যের।

এরমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় নৌ পুলিশের এএসআই আক্কাসের ছবি। যার সঙ্গে সুমন ব্যাপারীর গঠনে অনেক মিল।

প্রচার করা হয়, সুমন ব্যাপারী নৌ পুলিশের সদস্য, ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী নন। তাকে জীবিত উদ্ধারের নাটক সাজিয়েছে প্রশাসন।

বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে সময় সংবাদ। নৌ পুলিশের সদস্য আক্কাসকে হাজির করা হয় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন ব্যাপারীর সামনে। দুজনের চেহারার মিল থাকায় এ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি সুমন ব্যাপারি বলেন, আমি ফলের ব্যবসা করতাম। সদরঘাটে ফল বিক্রি করতাম।

আর নৌপুলিশের সদস্য আক্কাস বলেন, যে কাজটা করেছে সে ঠিক করেনি। তার ছবি আর আমার ছবি একবারে মিলও নাই।

স্থানীয়রা বলছেন, সে সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চে ফেরি করে ফল বিক্রি করে। প্রায় এক বছর ধরে তিনি এই ব্যবসা করেন।

সুমনের পরিচিত আরেকজন বলেন, সুমন এখানে ব্যবসা করে। আমরা যাতায়াত করতে গিয়ে তাকে দেখতাম। বেশিরভাগ সময় পল্টনে থাকতো।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বলছেন, সুমন ব্যাপারী সদরঘাটের ১৩ নম্বর পন্টুনে ফল বিক্রি করতেন। লঞ্চডুবির আগের দিনও অনেকে তাকে ফল বিক্রি করতে দেখেছেন।

এদিকে সুমন বেপারীকে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের ব্যারাকের বাবুর্চী হিসেবে খবর প্রকাশিত হয় কিছু গণমাধ্যমে। যা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নৌ- থানা পুলিশ।

নৌ-থানা পুলিশের কর্মকর্তা বলছেন, সদরঘাট নৌ থানা বিগত দুই বছর পরিচালিত করছি। এখানে কোনো ডাইনিং সিস্টেমই নাই। এখানে নিজেরাই রান্না করি। এখানে মেস সিস্টেমও নাই। কুকিং সিস্টেম করার চেষ্টা করছি, কিন্তু হয়নি। এজন্য আমাদের এখানে নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্ট কোনো বাবুর্চিই নেই।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *