
কর্মকর্তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা হুঁশিয়ারি চীনের

হংকংয়ে কঠোর ব্যবস্থা আরোপে চীনের ভূমিকার কারণে ১৪ চীনা কর্মকর্তাদের ওপর অর্থনৈতিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ হওয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ব্যক্তি বা কোম্পানির সঙ্গে তাদের লেনদেনও নিষিদ্ধ থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মেয়াদের এই শেষ সময়ে এসেও বেইজিংয়ের ওপর চাপ বহাল রাখার নীতি বহাল রয়েছে।
গত সোমবারে আরোপ করা এ নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছেন চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটির (এনপিসিএসসি) ভাইস চেয়ারপারসন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে এনপিসিএসসি’র বিরুদ্ধে হংকংয়ের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি পছন্দের সক্ষমতা কেড়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন।
সম্প্রতি হংকংয়ে চীনের দেয়া নতুন ক্ষমতাবলে বিচারবিভাগ থেকে চার বিরোধীদলীয় সদস্যকে বহিস্কার করেছে। এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা। পশ্চিমা দেশগুলোও হংকংয়ের এ পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র, এই ৫ দেশের গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের ‘ফাইভ আইজ’ গ্রুপ বলেছে, সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতেই ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ চর্চা বন্ধ করার জন্য বেইজিংকে আহ্বানও জানায় গ্রুপটি।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়ান গত নভেম্বর মাসে সদস্যদের বহিষ্কার নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, ১৯৯৭ সালে ব্রিটেন কর্তৃক হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করার পর ওই ভূখণ্ডের স্বায়ত্তশাসন অনুযায়ী ”একটি দেশ, দুটি ব্যবস্থা” নামে যে সূত্রটি দেখানো হয়েছে, তা এখন “নিছক একটি মর্মর পাতা”। সূত্র : রয়টার্স
Originally posted 2020-12-08 23:52:07.