স্বাস্থ্যখাত ‘গিলে খাওয়া’ মিঠুর নামে সড়ক, বাসার দিকে ক্যামেরা ধরলেই বাজে এলার্ম!

বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে জীবনের প্রথম আয়-রোজগার শুরু হলেও এখন শুধু রংপুরেই তার কতো জমি-বাড়ি-ভবন, হাসপাতাল আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সে হিসাব কারও জানা নাই। স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর আদি বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদীর মহিপুরঘাটে।

৩০ বছর আগে যে গ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল মিঠুর উত্থান। স্বাস্থ্যখাত গিলে ফেলে বিপুল সম্পদের মালিক হলেও বরাবরই থেকে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

ভবনের ছাদে হেলিকপ্টার নামতে পারে, রংপুর নগরীতে এমন বাড়ি একটাই। বাড়িটির দিকে কোনো ক্যামেরা তাক করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেজে ওঠে এর অ্যালার্ম সিস্টেম।

বাবা কছিরউদ্দীনের নামে নগরীর বাণিজ্যিক এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল। চব্বিশহাজারি, মহিপুর ও দর্শনায় একরকে একর জমি, নানা অবকাঠামো, ছাত্রাবাসসহ বিপুল সম্পদের মালিক মিঠু। দর্শনা এলাকায় ভিআইপি মিঠু নামে একটি সড়কও আছে।

তিস্তা নদীর তীরে এই বাড়িটি পরিচিত মিঠু হাজির বাড়ি নামে। এই গ্রামের নাম মহিপুর হওয়ায় ‘মহি মিঠু’ নামেই তার বেশি পরিচিতি।

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে কাজ ভাগানো তার কৌশল বলে ‘ছেলে ধরা মিঠু’ নামেও পরিচিত। আলোচিত এই ঠিকাদার স্বাস্থ্যখাত গিলে ফেলে নিজের বিত্ত-বৈভব গড়ে তুললেও বরাবরই থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বলেন, এখানে একেবারে নিম্ন মানের খাবার দেয়া হয়, এটা একটা সিন্ডিকেট, এটাকে ভাঙতে হবে।
১৯৮০ সালের বন্যা ও ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে ৮ ছেলে, ৩ মেয়ের সংসার নিয়ে কছির উদ্দীন ১৯৮৬ সালে স্থায়ী বসতি গড়েন মহিপুর ঘাটপাড়ে। মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। -সময়টিভি

Originally posted 2020-07-05 10:28:40.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *