এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

সিলেটের এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণের ঘটনার ‘প্রধান অভিযুক্ত’কে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সুনামগঞ্জের এসপি মিজানুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানান সকালবেলা ছাতক থেকে ঘটনার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

তিনি বলেন, “সকালে ছাতক থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের জানামতে মামলার এজাহার অনুযায়ী আটক করা ব্যক্তিই প্রধান অভিযুক্ত।”

এরপর হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে মামলার এজাহারে থাকা আরেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সিলেটের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের গেটের সামনে থেকে ঐ তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। ঐ তরুণী তার স্বামীর সাথে একটি গাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

তরুণীর স্বামী এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীকে যখন জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন দুই ব্যক্তি তাকে গাড়িতে আটক করে রাখে।

এর ঘণ্টাখানেক পর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষের সামনে থেকে নিজের স্ত্রীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বামী।

পরে রাতেই ঐ তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

এমসি কলেজের হোস্টেলের পাশের আবাসিক এলাকার এক বাসিন্দা জানান রাতে বেশ কিছুক্ষণ ছাত্রাবাসের ভেতর থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন তিনি। পরে একপর্যায়ে নারী কন্ঠের চিৎকার শুনতে পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে স্থানীয় আরো কয়েকজনকে নিয়ে ছাত্রাবাস এলাকার ভেতরে প্রবেশ করেন।

সেসময় হোস্টেলের পাশের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে কর্মচারীরা জড়ো হলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন তারা।

শনিবার ভোরে তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় মোট নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

ঐ ঘটনার পর থেকে সিলেটে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে সাধারণ মানুষ।

এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল বলে বলা হচ্ছে, তবে পুলিশ এখনো তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

Originally posted 2020-09-27 18:20:29.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *