রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা: যেভাবে বিভক্ত এশিয়ার অর্থনীতি

ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশ এখন রাশিয়া। পশ্চিমা বড় অর্থনীতির দেশগুলো এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও এশিয়ার কেবল কয়েকটি সরকার মস্কোর বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছে। শুক্রবার বিবিসির এক বিশেষ প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ইউক্রেনে আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা রাশিয়ার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেনি।

এ ছাড়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে উত্থাপিত একটি নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, লাওস ও মঙ্গোলিয়া।

জাতিসংঘের ওই নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশও।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমের দেশগুলো মিত্র অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

টোকিও ও সিউল রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যদিও এগুলোর প্রভাব অনেকটাই সীমিত।

এশিয়ার যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, রাশিয়া তাদের সঙ্গে মোট বৈশ্বিক বাণিজ্যের কেবল ৮ শতাংশ করে থাকে।

আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর পলিসি, অ্যাডভোকেসি ও গভর্ননেন্স এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইদ মুনির খসরু জানান, এশিয়ার দুই বৃহৎ শক্তি ভারত ও চীন নিষেধাজ্ঞা না দেয়ায় রাশিয়ার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ার সম্ভবনা কম।

রাশিয়ার বাণিজ্যের ১৮ শতাংশ এ দুই দেশে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আট বছর আগে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে শুরু করে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও শুরু করে রুশ বাহিনী।

যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ছেড়েছেন ২০ লাখের বেশি মানুষ। তারা প্রতিবেশি দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

সূত্র জানায়, রুশ সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনা বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *