সূচকে এগোলেও ‘মারাত্মক অনাহার তালিকায়’ বাংলাদেশ

বিশ্ব খাদ্য সূচকে ১৩ ধাপ এগোলেও ‘মারাত্মক’ অনাহারের তালিকা থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০ দশমিক চার পয়েন্ট নিয়ে ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম।

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (জিএইচআই)-২০’ নামে এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

শিশু মৃত্যুর হার, অপুষ্টি, খর্বাকৃতি ও শীর্ণকায় শিশুর সংখ্যার ভিত্তিতে আয়ারল্যান্ডের কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও জার্মানির ‘ওয়েলথ হাঙ্গার লাইফ’ যৌথভাবে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক প্রকাশ করে থাকে। গেল বছরে প্রকাশিত এই সূচকে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮ তম।

মারাত্মক অনাহারের দেশ হলেও, এবছর চারটি সূচকেই উন্নতি করেছে বাংলাদেশ।ফলে এই সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তবে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে আছে এখনো।

প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ অপুষ্টির শিকার, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৯ দশমিক ৮ শতাংশের উচ্চতার তুলনায় ওজন কম, ওই বয়সী শিশুদের ২৮ শতাংশ শিশুর উচ্চতা বয়সের অনুপাতে কম এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ৩ শতাংশ।

গেল বছর এই চার সূচকেই হার ছিল যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ, ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ, ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যেসকল দেশের পয়েন্ট নয় দশমিক নয় এর নিচে তারা নিম্ন পর্যায়ের খাদ্য ঝুঁকিতে আছে। পয়েন্ট তালিকায় ১০ থেকে ১৯ দশমিক নয় পাওয়া দেশগুলো মাঝামাঝি পর্যায়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। যাদের অবস্থান ২০ থেকে ৩৪ দশমিক নয় পয়েন্টের মধ্যে তাদের ক্ষুধা ‘মারাত্মক’ আকার ধারণ করেছে। ৩৫ থেকে ৪৯ দশমিক নয় পয়েন্ট পাওয়া দেশগুলোতে ক্ষুধা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে, সর্বশেষ ৫০ এর উপরে যাদের পয়েন্ট তাদের অবস্থা চরমভাবে ভয়ংকর।

সূচকে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দক্ষিণের অঞ্চল সাহারা ও দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সূচেক সাহারার পেয়ন্ট ২৭.৮ ও দক্ষিণ এশিয়ার পয়েন্ট ২৬। প্রাপ্ত পয়েন্টের তালিকা অনুযায়ী, মাদাগাসকার, চাঁদ ও পূর্ব তিমুরের অবস্থা ভয়ানক।

এই দিন দেশ ছাড়াও ভয়ানক খাদ্য ঝুঁকিতে আছে বুরুন্ডি, সেন্টাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন।

প্রতিবেদনটি বলছে, দ্বিতীয় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে নেই বিশ্ব। যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে জিরো হাংগারের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩৭টি দেশ নিম্ন পর্যায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। সূত্র –গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেস্ক



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *