
চীনের রফতানিতে রেকর্ড, ঘুরে দাঁড়াল অর্থনীতি

রফতানি বাণিজ্যের চাঙ্গা অবস্থায় ভর করে গতি তুলছে চীনের অর্থনীতির ঘোড়া। গত তিন বছরে সবচেয়ে বেশি ২১ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে দেশটির রফতানি। যে চীন থেকে করোনা মহামারির শুরু সেই চীনই সবার আগে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এই ভাইরাসের প্রদুর্ভাব।
গত সপ্তাহে দেশটির সরকারের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, উৎসবের মৌসুমে গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোয় চাহিদা বাড়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে, যা রেকর্ড বাণিজ্য উদ্বৃত্ত সংগ্রহেও সহায়তা করেছে দেশটিকে।
করোনার ফলে চীনের অর্থনীতিও বেহাল হয়েছিল। আবার সেই করোনার কারণেই চীনের রপ্তানি রেকর্ড বেড়েছে। যদিও এই অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সরকারের নেয়া ঋণ এবং চীনা ধনীদের ব্যয় করা বিপুল পরিমাণ অর্থ। কিন্তু পান রুন পিং-এর মত সাধারণ চীনা নাগরিকদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে সুখবর।
গত মাসে চীনের রফতানি ২১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ২৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে মূলত ভূমিকা রেখেছে বিশ্ববাজারে মেডিকেল পণ্য ও বৈদ্যুতিক জিনিসপত্রের উচ্চ চাহিদা।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির পর এটিই চীনের রফতানি বাণিজ্যের সেরা পরিসংখ্যান। এর আগে অক্টোবরে রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। পাশাপাশি এই নিয়ে টানা ছয় মাস প্রবৃদ্ধি দেখল দেশটি। নভেম্বরে রফতানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা চালানগুলো মূলত রওনা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দিকে।
অর্থনীতি এতটাই স্থিতিশীল হয়েছে বলে সরকার মনে করছে যে তারা তাদের পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। এই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির আর্থসামাজিক কৌশলের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটাও স্পষ্ট যে ২০২০ সালে চীনই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র বড় অর্থনীতির দেশ যাদের অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে দেখা যাবে।
Originally posted 2020-12-08 23:54:16.