
কোভিড-১৯ এর ছায়ায় ফ্রান্সে নিরব জাতীয় দিবস

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মানুষের জীবন যখন নাজেহাল, ঠিক সে সময়ে এলো ১৪ জুলাই মঙ্গলবার ফ্রান্সের জাতীয় দিবস বা বাস্তিল ডে। ফ্রান্স সরকার প্রতিবছর দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেন। কিন্তু এবারের জাতীয় দিবস পালন হবে অনেকটা নিরবে। সোমবার ফ্রন্স সরকারের পক্ষ থেকে এমন বার্তা প্রদান করা হয়েছে।
ফ্রান্সের জাতীয় দিবস উদযাপনে সাধারণত একটি বিশাল এয়ার শো-এর আয়োজন করা হয় এবং চ্যাম্পস-ইলিসিস বা প্যারিস গেটে প্যারেড করে অন্তত ৪ হাজার সামরিক কর্মী।এছাড়া আইফেল টাওয়ারে হাজার-হাজার মানুষের উপস্থিততে আতশবাজি প্রদর্শন করা হয়।কিন্তু এবছর তেমনটি হচ্ছে না। প্যারিস গেটের পরিবর্তে প্লেস ডি লা কনকর্ডে ছোট পরিসরে প্যারেডের আয়োজন করা হয়েছে। আতশবাজি প্রদর্শন করা হবে। তবে সেখানে তেমন জনসাধারণ থাকবে না।
ছোট আকারের উৎসবে হতাশ হয়েছেন প্যারিসবাসী। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে-সঙ্গে প্যারিসে অলিগলিতে আতশবাজির ঝলকানি থাকলেও তা আগের মতো নয়। কোথাও বেশি বাড়াবাড়ি হতে দেখলে পুলিশকে বাধা দিতে দেখা যায়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বছরের জাতীয় দিবসের উৎসব চিকিৎসক ও সামরিক কর্মীদের শ্রদ্ধা হিসাবেও ব্যবহার করা হবে। যারা কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করেছিলেন।
১৭৮৯–১৭৯৯ ফরাসি বিপ্লব ফ্রান্স, ইউরোপ এবং পশ্চিমা সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিপ্লবের সময় ফ্রান্সে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে প্রজাতান্ত্রিক আদর্শের অগ্রযাত্রা শুরু হয় এবং একই সাথে দেশের রোমান ক্যাথলিক চার্চ সকল গোঁড়ামী ত্যাগ করে নিজেকে পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয়। ফরাসি বিপ্লবকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি জটিল সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যার মাধ্যমে পশ্চিমা সভ্যতা নিরঙ্কুশ রাজনীতি এবং অভিজাততন্ত্র থেকে নাগরিকত্বের যুগে পদার্পণ করে। ঐতিহাসিকরা এই বিপ্লবকে মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করেন
Originally posted 2020-07-14 06:06:22.