
কিভাবে হত্যা করা হয় জর্জ ফ্লোয়েডকে

রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। কাজ শেষে গাড়ি ড্রাইভ করে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে পুলিশের তল্লাশি। পুলিশের কাছে তথ্য আছে জর্জ ফ্লয়েড জাল টাকার কারবারের সঙ্গে জড়িত। জোর করে গাড়ি থেকে নামানো হয় তাকে। হাতে হাতকড়া লাগিয়ে মাটিতে শুইয়ে ফেলে শেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিন। মুহুর্তেই গলার উপর হাটু গেড়ে বসেন তিনি। শ্বাস নিতে কষ্ট হয় ফ্লোয়েডের। আকুতি জানিয়ে বলতে থাকেন, আমি শ্বাস নিতে পারছি না। আমি বাঁচাতে চাই। তবুও মন গলেনি পুলিশ কর্মকর্তার।কয়েক মিনিট হাটু দিয়ে গলা চেপে রাখে সে। নিস্তেজ হয়ে যায় ফ্লোয়েডের শরীর। এরপরও আড়াই মিনিট গলা চেপে রাখতে দেখা যায়। এসবই ফুটে উঠেছে ২৫ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও চিত্রে। পরে এ্যাম্বুলেন্স ডেকে ফ্লোয়েডকে হাসপাতালে পাঠালে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ রাজ্য। কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নেমে আসে হাজার-হাজার মানুষ। বিক্ষোভের অষ্টম দিন। ইতোমধ্যে বিক্ষোভে প্রাণ হারিয়েছে ১১ জন কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান আমেরিকান। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ জনকে।
এ ঘটনায় নিরস্ত্র ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু রাখা ৪৪ বছর বয়সী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনসহ চারজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগে ডেরেক শভিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Originally posted 2020-06-04 03:13:11.