করোনার সর্বোচ্চ শনাক্তের দিনে ঢাকায় তীব্র যানজট

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চলছে লকডাউন। এর মধ্যেই রাজধানীর উত্তরায় দেখা দিয়েছে যানবাহনের তীব্র চাপ। যানজটের ফলে ১০ মিনিটের পথ পেরোতে লাগছে এক ঘণ্টারও বেশি সময়। পুলিশ বলছে, নগরী থেকে বের হওয়ার পথে বাধা পাচ্ছে যানবাহনগুলো। আর তাতেই দেখা দিয়েছে যানজট।

সোমবার (১৮ মে) উত্তরার জসীম উদ্দিন মোড় থেকে হাউজ বিল্ডিং পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে দেখা যায় যানবাহনের তীব্র যানজট।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিবহনের তীব্র চাপ দেখা যায় সড়কটিতে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকের বেশ চাপ দেখা যায় সড়কটিতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা থেকে বের হওয়ার জন্য হাউজ বিল্ডিং হয়ে আবদুল্লাহপুর সড়কে গাড়ির তীব্র যানজট রয়েছে। রাজধানী থেকে উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ব্যবহৃত হয় এ পথ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ যানজটের একটি বড় কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী থেকে বাইরে যেতে চাওয়া যানবাহন ও শপিং করার জন্য বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিগত গাড়ি।

উত্তরা এলাকার বাসিন্দা ও চলচিত্র পরিচালক জসীম আহমেদ বলেন, অফিস খোলা তাই নিয়মিত বনানীতে যাতায়াত করতে হয়। গেল শুক্রবারের আগ পর্যন্ত জসীম উদ্দিন মোড় থেকে হাউজ বিল্ডিং আসতে হয়তো দুই মিনিট লাগতো। বনানী থেকে আসতে পারতাম পাঁচ থেকে সাত মিনিটে। কিন্তু শুক্রবারের পর থেকে এ সড়কে যানজট বাড়তে দেখছি। বিগত দুই একদিন ধরে এ যানজট আরও তীব্র হচ্ছে। মানুষজন আশপাশে শপিং করছেন, নয়তো রাজধানীর বাইরে যাচ্ছেন।

এদিকে যানজট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুল হক। তিনি বলেন, সরকার ও আইজিপি স্যারের কড়া নির্দেশ আছে যেন অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ রাজধানীর বাইরে যেতে না পারেন। সেজন্য আমাদের এখতিয়ারভুক্ত এ এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। এতে অনেকেই রাজধানী ছাড়তে পারছেন না। সেই যানবাহনগুলো আবদুল্লাহপুর মোড়ে অপেক্ষা করছে। এদিকে পুলিশও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এজন্যই হয়তো দীর্ঘ সারি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত এটা সরিয়ে দেওয়ার। তবে কোনোভাবেই যাদের রাজধানীর বাইরে যাওয়ার বৈধতা নেই তারা যেতে পারবেন না। সোমবারও দেশে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের সচেতন হতে হবে। মানুষ সচেতন না হলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে প্রশাসন বা সরকার একা কিছুই করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জন মারা গেছেন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬০২ জন। এটিও একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩ হাজার ৮৭০ জনে।

সোমবার (১৮ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

Originally posted 2020-05-18 14:11:22.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *