ইউক্রেনে অত্যাধুনিক রকেট পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটো-রাশিয়া মহাযুদ্ধের আশঙ্কা

ইউক্রেনে অত্যাধুনিক রকেট পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এম ১৪২ ‘হাই মবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম’ বা এইচআইএমএআরএস। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের পর বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে রাশিয়া ক্রুদ্ধ হতে পারে যার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোটের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে মস্কোর সরাসরি যুদ্ধ বেধে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা পল অ্যাডামস বলছেন, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনকে যেসব সামরিক সাহায্য দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে তার মধ্যে এটি তাৎপর্যপূর্ণ।

তিনি বলছেন এই এইচআইএমএআরএস রকেট ব্যবস্থা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাসের যুদ্ধকে বদলে দিতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যদি আত্মরক্ষার জন্যেও এসব রকেট ব্যবহার করে তাহলে তারা ডনবাস এবং ক্রিমিয়াতেও এটি ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু রাশিয়া ক্রিমিয়াকে তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে এবং ডনবাস পুরোপুরি দখল করে নেওয়ার জন্যেও তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে আক্রমণ চালিয়ে আসছে।

যুদ্ধ পরিস্থিতি

রাশিয়ার সৈন্যরা পূর্বাঞ্চলীয় সেভেরোদোনেস্ক শহরটি পুরোপুরি দখল করার উদ্দেশ্যে আরও ভেতরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও শহরের যেসব জায়গা এখনও পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে সেগুলোতে তাদের অবস্থান সংহত করেছে।

লুহানস্ক অঞ্চলে এটিই শেষ শহর যা এখনও ইউক্রেনীয় সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয় গভর্নর সেরহেই হাইদাই বলছেন, রুশ সৈন্যরা ওই শহরের ওপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। তিনি জানান যে ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের কিছু সৈন্য নতুন জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বিবিসির সংবাদদাতারা বলছেন, এই অঞ্চল দখলের লড়াই-এ রাশিয়া প্রচুর সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র নিয়োগ করেছে। এর ফলে অন্য কোথাও তাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালানো হলে তা ঠেকানোর শক্তি হ্রাস পেয়েছে।

খেরসন অঞ্চল থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা যাতে অগ্রসর হতে না পারে সেজন্য রুশ বাহিনী সেখানকার বিভিন্ন সেতু ধ্বংস করে দিচ্ছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর আজ পর্যন্ত টানা ৯৭ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো দেশ দুইটির মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনে সংঘাত আরও বেড়েছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *