
সীমান্ত বন্ধ : ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের কী হবে?

করোনার ভারত ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় জাতীয় কমিটি সরকারকে এই পরামর্শ দেয়ার পর দিনই সিদ্ধান্ত দিল সরকার।রোববার (২৫ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ১৪ দিন (২৬ এপ্রিল থেকে) সীমান্তে কেউ যাতায়াত করতে পারবেন না। তবে স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলবে।
এদিকে জানা গেছে, ভারতে দুই হাজারের মতো বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। ভারতে অবস্থান করা দুই হাজার বাংলাদেশির মধ্যে ১৫০০ রোগী ও ৫০০ জন ব্যবসায়ী। ঈদ উপলক্ষে তারা কেনাকাটা করতে ভারতে গিয়েছিলেন। দুই সপ্তাহের জন্য সীমান্তে কড়াকাড়ি আরোপ করায় তারা দেশে ঢুকতে পারবেন না।
কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের হাই-কমিশনার তৌফিক হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, মোটামুাটি দু’হাজারের মতো বাংলাদেশি ভারতে অবস্থান করছেন। তবে এখনই সঠিকভাবে বলতে পারবো না। কতজন রোগী, কতজন আদার্স। কারণ আজ রোববার, এখানে ছুটির দিন। তবে যারা ভারতে আছেন তারা দু’সপ্তাহের জন্য ফিরতে পারবেন না।
‘যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ তাদের এখানে (দূতাবাসে) যোগাযোগ করতে হবে। এখান থেকে একটি প্রশংসাপত্র দেওয়া হবে, তাই নিয়ে দেশে ফিরতে হবে।’
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের যুক্তরাজ্য ও সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে বেশি। গত বছর দেশে যে ভ্যারিয়েন্ট এসেছিল তার চেয়ে এই দুই ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক। পাশাপাশি মানুষকে বেশি ভোগাচ্ছে, দ্রুত অক্সিজেন সাপোর্ট এমনকি আইসিইউ লাগছে।
এর মধ্যে ভারতের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। টানা চার দিন সেখানে তিন লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এর আগে কখনও বিশ্বে দেখা যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতোমধ্যেই ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার তিনটি আলাদা ধরন একীভূত হয়ে সৃষ্টি হওয়া ভাইরাসের এই নতুন ধরনটির সংক্রমণ ক্ষমতাও প্রায় তিনগুণ বেশি। যার কারণে ভাইরাসের নতুন ধরনে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার অবনতিও হচ্ছে খুব দ্রুত।
Originally posted 2021-04-26 07:00:35.