শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদ পর্যন্ত বন্ধ রাখার পক্ষে আ.লীগ নেতারা

চলমান করোনা সংকটের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা।বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রণের হার কমে এলেও পরিস্থিতি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ রয়ে গেছে বলে তারা মনে করছেন।

আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লেখা পড়া বিঘ্নিত হচ্ছে—এ বিষয়ও সরকারকে ভাবতে হচ্ছে। আবার একজন শিক্ষার্থীর জীবন নিয়েও সরকারকে গভীরভাবে ভাবতে হচ্ছে। কারণ, এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই রয়েছে দেশ। এখন হয়তো অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু খুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হলে তখন সরকারের ওপরই দায় দেওয়া হবে।

তারা মনে করেন, করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমে এসেছে, ধারণা করা হচ্ছে আগামী কিছু দিনের মধ্যে আরও কমে আসবে। এপ্রিলে রোজা। এই সময়ে এমনিতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তাই এই মুহূর্তে না খুলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে ঈদের পর চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, করোনার সংক্রমণ কমে এলেও এখনও ঝুঁকি রয়েছে। কোনো কোনো দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হলে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে এখন যারা খুলে দেওয়ার কথা বলছেন, খুলে দেওয়ার পর একজন ছাত্র আক্রান্ত হলে তখন তারাই বলবেন—কেন খোলা হলো? বাচ্চারা আক্রান্ত হলে তখন তার দায় কে নেবে? তাই আরও কিছু দিন অপেক্ষা করা উচিত বলে আমি মনে করি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, এই মুহূর্তেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করি না। এখনও মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে যেহেতু পরিস্থিতি উন্নতির দিকে, সংক্রমণ কমে আসছে তাই আগামী ঈদ পর্যন্ত দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। শুনেছি সরকারও এ রকম ভাবছে।

Originally posted 2021-02-27 16:14:24.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *