জানুয়ারির মাঝামাঝি তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

পৌষের বিদায়লগ্ন এখন। অথচ গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা বেড়েছে দেশের সর্বত্রই। কয়েক দিন পরই বছরের তীব্র শীত নিয়ে আসছে মাঘ। তার আগে মঙ্গলবার থেকে শীতের প্রকোপ শুরু হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষজ্ঞ কমিটির সভার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জানুয়ারিতে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে দেশে দু-একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে একটি তীব্র (৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। গতকাল শুক্রবার আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। তা পর্যায়ক্রমে সারা দেশে বিস্তার লাভ করবে। তার আগ পর্যন্ত দেশে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে ১২ তারিখ থেকেই তাপমাত্রা কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শাহীনুল বলেন, চলতি মাসে দুটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। এর মধ্যে একটি খুব তীব্র আকার ধারণ করতে পারে এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যটি মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, জানুয়ারির ১৫-১৬ তারিখের দিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

পৌষের শেষ সময়ে এখন তাপমাত্রা বাড়ার কারণ সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান বলেন, ওয়েস্টারলির (পশ্চিমা লঘুচাপ) প্রভাবে শীতকালে এক ধরনের বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রাটা বেশি কমে যায়। কিন্তু এবার প্রকৃতিতে সেই বৃষ্টি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে রংপুর অঞ্চলে হালকা মেঘ দেখা যাচ্ছে, সেখানে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি দেখা যাচ্ছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তর-পশ্চিমে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে শীতল হাওয়া। বঙ্গোপসাগর থেকে পুবালি হাওয়ার প্রভাব বাড়ায় শীতের অনুভূতি কমছে। এখন দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এদিকে পৌষের শেষেও দেশের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে ওপরে থাকায় গমসহ শীতকালীন সবজির উৎপাদনে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন কৃষিবিদরা।

গতকাল শুক্রবার বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে তেমন শীত অনুভূত হচ্ছে না। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গল ও রাজারহাটে; ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়া ছাড়াও মধ্যরাত থেকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

Originally posted 2021-01-09 05:37:06.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *