চিকিৎসার পর পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীও তিনজন

২০২০ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী৷ তাদের একজন কৃষ্ণ গহবর নিয়ে গবেষণা করেছেন আর অন্য দুজনের বিষয় ছিল গ্যালাক্সি৷
পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া এই ত্রয়ী হলেন যুক্তরাজ্যের রজার পেনরোস, জার্মানির রাইনহার্ড গেনজেল এবং যক্তরাষ্ট্রের আন্দ্রেয়া ঘেজ৷ এরমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রজার পেনরোস গবেষণা করেছেন কৃষ্ণ গহবর নিয়ে৷ তিনি দেখিয়েছেন আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বই কৃষ্ণ গহবর গঠনে ভূমিকা রেখে চলছে৷ নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্যের অর্ধেকটাই পাবেন তিনি৷

পদার্থে নোবেল পুরস্কারের বাকি অর্থের অর্ধেক পাবেন জার্মানির মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ফিজিক্স-এর গবেষক রাইনহার্ড গেনজেল ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দ্রেয়া ঘেজ৷ তারা দুজন আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অদৃশ্য এবং ভারি এক ধরনের বস্তু (সুপারম্যাসিভ কমপ্যাক্ট অবজেক্ট) আবিষ্কার করেছেন৷

এদিকে মানবদেহে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস শনাক্তের গবেষণা করে নোবেল পেয়েছেন দুই অ্যামেরিকান ও একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী, যার মধ্য দিয়ে সোমবার থেকে চলতি বছরের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়৷
২০২০ সালে চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ী এই তিন বিজ্ঞানী হলেন হার্ভে জে অ্যালটার, চার্লস এম. রাইস ও মাইকেল হটন৷ হার্ভে জে অ্যালটার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ আর চার্লস এম. রাইস আছেন নিউইয়র্কের রকফেলার ইউনিভার্সিটিতে৷ তারা দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক৷ অন্যদিকে ব্রিটিশ নাগরিক মাইকেল হটন বর্তমানে ক্যানাডার ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টাতে কর্মরত৷

সুইডেনের ক্যারোলিন্সকা ইন্সটিটিউটে সোমবার নোবেল কর্তৃপক্ষ তাদের নাম ঘোষণা করে৷ বিচারকরা বলেছেন, মানবদেহের রক্তে জন্ম নেয়া হেপাইটাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবদানের স্বীকৃতি এটি৷

এই তিন গবেষকের কারণেই জটিল রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এখন ভাইরাসটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে৷ এ কারণে বিশ্বের অনেক দেশে রোগটি নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে কমিটি৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখনো বিশ্বে ৭০ লাখ মানুষ হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত, চার লাখ মানুষ প্রতি বছর প্রাণ হারাচ্ছেন এই রোগে৷ হেপাটাইটিস সি কিডনি প্রদাহ আর ক্যান্সারেরও প্রধান কারণ৷DW



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *