সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে নিহত ৪৫৯ জন

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভ, আন্দোলন ও সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৪৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ২ হাজার ৫৫৯ জন। সোমবার (২৯ মার্চ) বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গেছে।

রাজনৈতিক বন্দিদের সহযোগিতা সংক্রান্ত সংস্থা ‘এএপিপি’ এর মতে নিহত ৪৫৯ জনের মধ্যে শিশু, শিক্ষক ও তরুণরা রয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে গেল ২৭ মার্চের তাণ্ডবে পাইগিই দাগুন শহরতলীতে ৬০টি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যখন সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী এসব ঘরে আগুন দেয় তখন তারা আগুন নেভাতে বাধাও দেয় স্থানীয়দের।

অভ্যুত্থানের পর থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সামরিক জান্তা সরকার ২ হাজার ৫৫৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে ৩৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

গেল কয়েকদিনের আন্দোলন, বিক্ষোভ, ধরপাকড় ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। ৩ হাজারের অধিক মানুষ মিয়ানমারের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে শরনার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে।

গেল ১৯ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু হয়। সেটা ছিল অভ্যুত্থানের পর প্রথম মৃত্যু।

এরপর ক্রমেই দানা বাধে জান্তা সরকার বিরোধী আন্দোলন। তার সঙ্গে কঠোর হয় জান্তা সরকারও। তাদের সশস্ত্র বাহিনীর হামলা ও দমন-পিড়নের ঘটনায় বাড়তে থাকে মৃত্যুর মিছিলও। মোটা দাগে ২৭ মার্চ একদিনে সর্বোচ্চ ১৪১ জন নিহত হয়। তার আগে ১৪ মার্চ নিহত হয়েছিল ৯০ জন। ৩ মার্চ সামরিক বাহিনীর হামলা ও গুলিতে নিহত হয়েছিল ২৫ জন। ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৮ জন ও ২০ ফেব্রুয়ারি ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

Originally posted 2021-03-30 08:07:46.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *