
ব্রিটেনে মানুষ মারা গাছের বাগান

আমাদের চারিপাশেই নাকি বিষাক্ত গাছ রয়েছে৷ কিছু গাছ এমনকি মানুষ মেরে ফেলতে পারে৷
গাছের এমন সব গাছ নিয়ে বাগান তৈরি করে দর্শকদের জ্ঞান দেওয়া হয়৷ শিশুদের শিক্ষার জন্যও সেটি কাজে লাগানো হয়৷
ব্রিটেনের অ্যানিক বাগানের একটি অংশ পয়জেন গার্ডেন হিসেবে পরিচিত৷ সেখানকার গাইড ডিন স্মিথ বাগানের গাছপালা সম্পর্কে বাড়তি উৎসাহের কারণ বোঝেন৷ তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‘সবাই আমাকে প্রশ্ন করে, এই সব গাছপালা কি সত্যি মানুষ মারতে পারে? আমার উত্তর হলো, অবশ্যই পারে! এখানে একশোরও বেশি গাছপালা রয়েছে৷ এর মধ্যে অনেকগুলির কারণে ত্বক চুলকাতে পারে, পেট খারাপ হতে পারে এবং কয়েকটি সত্যি আপনাকে মেরেও ফেলতে পারে৷ তবে পেটে প্রবেশ করলে বা ছুঁলেই শুধু গাছ বিষাক্ত হবে, তা নয়৷ কয়েকটির গন্ধ শুঁকলেই সর্বনাশ৷”
ডিন স্মিথ একটি গাছের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করে সেটির বৈশিষ্ট্য বুঝিয়ে বললেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই গাছের চলতি নাম স্নিজওয়ার্ট৷ প্রথমত অস্বস্তি বোধ হবে, হাঁচি শুরু হবে৷ তারপর নাকের রক্তনালী ফুলে উঠবে, তারপর রক্ত বের হবে৷ হাসপাতালে গিয়ে সেই রক্তক্ষরণ বন্ধ করাতে হয়৷”
আরেকটি গাছের নাম অ্যাকোনাইটাম, যা উল্ফসবেন নামেও পরিচিত৷ নিয়মিত এই গাছের সঙ্গে ঘষা লাগলে বিষক্রিয়া হতে পারে৷ সবার আগে মুখের মধ্যে অসাড় অনুভূতি হবে৷ সেটা টের পেলে হয়তো আর কিছুই করার থাকবে না৷ ব্রিটেনের বিষাক্ত গাছের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ল্যাবারনাম৷ মাত্র চারটি ছোট গাছই একটি শিশুকে মেরে ফেলতে পারে৷
দর্শকরা এই সব গাছের পরিচয় পেয়ে বিস্মিত হন৷ কেউ কেউ বলেন, পয়জেন গার্ডেনে এমন অনেক গাছপালা দেখা যায়, যেগুলি নিজেদের বাগানেও রয়েছে৷
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে পয়জেন গার্ডেনের গাইড ডিন স্মিথ বলেন, ‘‘আমাদের একটি পয়জেন গার্ডেন রয়েছে, কারণ আমরা শিশুদের জন্য মাদক সংক্রান্ত কর্মসূচি আয়োজন করি৷ সেই বার্তা পাঠাতে আমরা যদি এটিকে ঔষধির বাগানে পরিণত করে চিকিৎসাবিদ্যার প্রতি মনোযোগ দিতাম, তাহলে বাচ্চাদের আগ্রহ থাকতো না৷ গাছ মানুষ মেরে ফেলতে পারে, এমনটা বললে তারা নড়েচড়ে বসবে৷ তখন না শেখালেও তারা সঠিক বার্তা পাবে৷’’DW
Originally posted 2020-11-07 04:20:29.