পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত

পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে শীত। বিভিন্ন জেলায় কমেছে তাপমাত্রা। হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরো দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

হাড় কাঁপানো শীতের কবলে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চল। হিম হাওয়ার সাথে বৃষ্টির ফোঁটার মত ঝরছে কুয়াশা। দিনের বেলাতেও যেন সন্ধ্যার আবহ পথেঘাটে।

উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়েও একই চিত্র। মাঝারী থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাবু জনজীবন। তীব্র শীতে যেন জমে গেছে কুড়েঘরের বিছানা-বালিশ। খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে হতদরিদ্র মানুষ।

রাজশাহীতে বেলা বাড়লে সূর্যের দেখা মিললেও ঠাণ্ডা বাতাসে বাড়িয়ে দিয়েছে শীত। হিমেল হাওয়ায় পদ্মা পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ একটু বেশিই।

গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা কমছে নীলফামারীতে। শীত বাড়ায় গরম কাপড়ের অভাবে বেশি বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ।

শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে রংপুরের হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। বেড়েই চলেছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশু ও বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত।

শৈত্যপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে আরো দুই থেকে তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

Originally posted 2020-12-20 21:28:34.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *