দুই মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলি, দেশে টিকার ট্রায়ালে অনিশ্চয়তা

দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়নহীনতায় অনিশ্চয়তার মুখে চীনা কোভিড টিকার ট্রায়াল। অনুমতি না পাওয়ায় এগুতে পারছে না বিএমআরসি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত লাগবে। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এটি স্বাস্থ্যের নিজস্ব বিষয়।

করোনাকালে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দেশের স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম ও দুর্বলতা। প্রতিরোধ ও চিকিৎসার অব্যবস্থাপনায় আশার আলো দেখাচ্ছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের খবর।

করোনার টিকা আবিষ্কারে এরই মধ্যে সাফল্য পেয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে গবেষণা চলছে চীনে। চীনের টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল দেয়ার প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বিএমআরসি। কিন্তু পরীক্ষা চালাতে এখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পায়নি তারা। মন্ত্রণালয় বলছে, দুটি দেশের মধ্যকার বিষয় হওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চীন থেকে যারা এসেছে তারাও যোগাযোগ করেছে। এটা যেখানে ভালো হয় আমরা সেটাই গ্রহণ করবো। অনুমোদন তো সরকারের প্রসেসিং।

স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মধ্যে রেখেছি। যেন আমরা বঞ্চিত না হই।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য। চীনের টিকার ট্রায়ালের বিষয়ে এখন পর্যন্ত তাদের সাথে কোনো যোগাযোগও করা হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা নেই। এখনো আসেনি আমাদের কাছে প্রোপোজালটা। এটা তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তারা ঠিক করে আমাদের জানাবে, এই ব্যাপারে আমার জানা নেই।

বৈশ্বিক টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও বায়োএনটেকের সাথে এর মধ্যে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে আমেরিকা। জার্মানি কিউরব্যাক প্রতিষ্ঠানের ২৩ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে। ইউরোপের পক্ষ থেকে টিকা গবেষণায় ৮০০ কোটি ডলার খরচ করার ঘোষণা এসেছে। সেখানে বাংলাদেশে চলছে ট্রায়াল নিয়েই জটিলতা কাটছে না।

Originally posted 2020-07-25 19:24:32.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *