চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় জার্মানির করোনা টিকা

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত করোনার টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে জার্মানির চিকিৎসা-বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান বিওনটেক-এর করোনা টিকা দেখাচ্ছে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ততা। অপেক্ষা শুধু চূড়ান্ত অনুমোদনের।

দুদিন আগেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমপক্ষে ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে করোনার একটি কার্যকরী টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা বেশ ভালোভাবেই চালাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন, কিন্তু হঠাৎ করেই এক স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় জনসনের উদ্ভাবিত টিকার চলমান পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে জটিলতা সৃষ্টি হয় অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েও।

এই অবস্থায় তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় জার্মানির জৈব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান বিওনটেকের কার্যকরী টিকা কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়। ইতোমধ্যে আস্থা অর্জন করতে শুরু করেছে গণমানুষেরও।

বিশেষজ্ঞ এক নারী বলেন, ‘যদি আপনি দেখেন যে, করোনার কোনো টিকা এসেছে তাহলে ধরে নেবেন, সেটি জার্মানির। জার্মানির তৈরি টিকার ওপর নির্ভরতা রাখতে পারেন।’

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ার আগে চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করা জনসন অ্যান্ড জনসন ২০০ মিলিয়ন ডোজের চুক্তিও সম্পন্ন করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে।

এদিকে বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের করোনার টিকা উদ্ভাবনে খুশি জার্মানিতে বসবাসরত প্রবাসীরা। তারা বলছেন, টিকার মান উন্নয়নে বার্লিনের সহায়তা নিতে পারে ঢাকা।

এক জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘আরও ভালো হয় যদি আমরা মিলে মিশে কাজ করতে পারি। জার্মানিতে যারা গবেষণা করছে তাদের সাথে বাংলাদেশি গবেষকরা যদি মিলে-মিশে দ্বিপাক্ষিক একটা সুন্দর সম্পর্কের ভিত্তিতে যদি এই গবেষণাটা সফল করা যায় এবং জার্মানিও এক্ষেত্রে খুবই আশাবাদী যে পুরো বিশ্বের মানুষ এটার ফলাফল ভালভাবে ভোগ করবে।’



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *