করোনা চিকিৎসায় দুই ওষুধ প্রয়োগ বন্ধ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

মহামারি করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভির পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এসব ওষুধ প্রয়োগে মৃত্যু ঝুঁকি না কমায় শনিবার নতুন এ সিদ্ধান্ত নিল সংস্থাটি। খবর এনডিটিভি ও আলজাজিরার।

ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন ট্রায়ালে এই ওষুধগুলো প্রয়োগে রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি কমার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনো প্রভাব থাকলেও তা খুবই সামান্য।

করোনাভাইরাসের কোনো ওষুধ বা টিকা এখনও আবিষ্কার না হওয়ায় বিদ্যমান নানা ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিভিন্ন দেশে রোগীদের দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভির, রেমডেসিভিরের। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কথা বলেছেন অনেকবার। তিনি ওষুধটি নিজেও খেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

কিন্তু গত ২৫ মে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেটটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা। এই ওষুধ সেবনে অনেকের হৃদস্পন্দনে গুরুতর অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ সতর্কবার্তা দিয়েছিল।

পরে ৪ জুন ওই সিদ্ধান্ত পাল্টে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক ব্যবহারে বাধা নেই। ডব্লিউএইচওর গবেষক দল যাচাই করে দেখেছে যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সেবনে কোভিড-১৯ রোগীদের ঝুঁকিতে পড়ার কোনো প্রমাণ নেই। এখন ফের কার্যকারিতার প্রশ্নে ওই ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করা হল।

Originally posted 2020-07-06 12:14:45.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *