করোনার কারণে প্রায় অর্ধেক শিশুই টিকাদান কর্মসূচির বাইরে

করোনা মহামারিতে প্রায় অর্ধেক শিশুই টিকাদান কর্মসূচির বাইরে রয়ে গেছে। সংক্রমণের ভয়, অধিকাংশ অস্থায়ী কেন্দ্র বসতে না পারাসহ নানা কারণে টিকা নিতে পারেনি শিশুরা। অধিকাংশ এনজিও অফিসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকার শিশুরা বেশি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে যে কোনো উপায়ে টিকাদান কর্মসূচি সফল করা না গেলে নিউমোনিয়া, হামসহ নানা রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশের স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে নেই আগের সেই উপচে পড়া ভিড়। করোনার ছোবল থেকে অভিভাবকরা নিজে ও তার শিশুকে সুরক্ষায় রাখতে আসছেন না কেন্দ্রে।

জন হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণা বলছে, করোনাকালে অর্ধেক শিশু বিভিন্ন রোগের টিকা নিতে পারেনি। সরেজমিনে অভিভাবকরাও জানালেন সেই বাস্তবতার কথা।

মহামারিতে ক্ষুধা, অপুষ্টি ও অন্য রোগের প্রকোপে আগামি ৬ মাসে ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে ব্লুমবার্গের গবেষণায়। শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে নিকটবর্তী কেন্দ্রের পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে দ্রুততম সময়ে টিকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এক বিশেষজ্ঞ বলেন, মাকে কিন্তু ভালো মানের মাস্ক পরতেই হবে। বাচ্চাকে মাস্ক না পরানো গেলে শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে স্বাস্থ্যকর্মী টিকা দেবেন তার মাস্ক পরা আছে কিনা। অথবা আগের বাচ্চাটিকে টিকা দিয়ে তিনি হাত পরিষ্কার করেছেন কিনা।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা মাকসুদুর রহমান বলেন, এই সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা, যক্ষা, নিউমোনিয়া, টিটেনাসের মতো রোগগুলো আবার চলে আসতে পারে।

শিশুদের বড় একটি অংশ টিকা না নিলেও এখন তা কাটিয়ে ওঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান ইপিআই পরিচালক।

ইপিআই পরিচালক ডা শামসুল হক বলেন, আমরা আশা করছি, এক থেকে দুই মাসের মধ্যে যেসব শিশু বাদ পড়েছে এটা পূরণ করে ফেলতে পারব।

শিশুদের জন্য যক্ষা, নিউমোনিয়া, হাম, পোলিও রোগের ভয়াবহতা করোনার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে কোনো উপায়ে কেন্দ্রে এসে টিকা দিতে না পারলে শিশুদের মধ্যে মৃত্যুঝুঁকি বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Originally posted 2020-07-05 10:26:51.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *