এবার রাশিয়ার একটি শহরের মালিকানা দাবি করেছে চীন

লাদাখ এলাকায় ভূখণ্ডের মালিকানা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে আছে চীন। সেখানে ২৩ ভারতীয় সেনা নিহতের এখনো এক মাস পার হয়নি। দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে, সীমান্তে ভারী অস্ত্রসহ সেনা মজুত করেছে দিল্লি ও বেইজিং।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে এবার রাশিয়ার একটি শহরের মালিকানা দাবি করেছে চীন। এ ঘটনাকে ‘বিপদ ডেকে আনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ এর খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক শহর নিজেদের বলে দাবি করেছে বেইজিং। তবে এ বিষয়ে এখনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি রাশিয়া।

খবরে বলা হয়েছে, গেল শুক্রবার (০৩ জুলাই) ভ্লাদিভোস্টক শহরের ১৬০তম বর্ষপূর্তিতে চীনা মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট উইবোতে অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। চীনে রুশ দূতাবাসের ওই ভিডিও নিয়ে আপত্তি তুলেছেন চীনা কূটনীতিক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা।

তাদের দাবি, ভ্লাদিভোস্টক শহরের আদি নাম ছিল ‘হাইশেনওয়াই’। কুইং সাম্রাজ্যের আমলে এই শহরটি চীনের অংশ ছিল। ইউরোপে শিল্প বিপ্লব ঘটায় শুরু হয় উপনিবেশ স্থাপনের লড়াই। ফলে বিশ্ব মানচিত্রে ঘটে যায় বড়সড় রদবদল। চীন দখল করতে লড়াই শুরু করে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধে চীনের পরাজয়ের পর ১৮৬০ সালে ভ্লাদিভোস্টক শহর দখল করে নেয় রাশিয়া।

চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের এক সংবাদকর্মী শেন শিওয়েই বলেছেন, ‘১৮৬০ সালে ভ্লাদিভোস্টক শহরে সামরিক বন্দর তৈরি করে রাশিয়া। কিন্তু ওই শহরটি আসলে হাইশেনওয়াই। অসমান বেইজিং চুক্তির ফলে চীনের ওই শহরটি হাতিয়ে নেয় রাশিয়া। তাই উইবো-তে অনুষ্ঠানের ভিডিও কাম্য নয়।’

এদিকে চীনের সঙ্গে শত্রুতার জেরে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধু বাড়াচ্ছে ভারত। দেশটি থেকে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা হার্ডওয়্যার কিনতে প্রায় ৩৮ হাজার ৯০০ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যত দ্রুত সম্ভব এই চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিশেষ সামরিক কমিটির বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারত ও চীনের মধ্যে চলমান সীমান্ত উত্তেজনা পর্যালোচনা করে দেশটির সামরিক বাহিনীকে স্বাবলম্বী করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এই উদ্যোগ সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া থেকে আনা হবে সুখোই। মিগ নির্মাণে বরাদ্দ পাবে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল। পাশাপাশি মিগ-২৯ আধুনিকীকরণের বরাদ্দ দেয়া হবে হ্যালকে। পাশাপাশি দৃশ্যমানের বাইরে থাকা বায়ু-বায়ু ক্ষেপণাস্ত্র আমদানিতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ দিনের বৈঠকে পিনাকা ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ১০০০ কিমি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র কিনতেও উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Originally posted 2020-07-05 10:30:11.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *