
ইয়েমেনে শরণার্থী শিবিরে আগুন;লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

ইয়েমেনের রাজধানী সানা। সেখানেই শরণার্থীদের জন্য তৈরি হয়েছিল বিশাল শিবির। রোববার সেই শিবিরেই আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত আটজনের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১৫৭ জনকে। তাঁদের সকলের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কী ভাবে ওই শরণার্থী শিবিরে আগুন লাগল, তা এখনো জানা যায়নি। হুতি বিদ্রোহীরা ওই শরণার্থী শিবির চালায়। শিবিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, তাও স্পষ্ট নয়।
ঘটনার পরেই টুইট করেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠনের ডিরেক্টর কারমেলা। তিনি জানিয়েছেন, আকস্মিক খবরে তিনি মর্মাহত। শরণার্থী এবং শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেরও মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ আহত। জাতিসংঘ সকলকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত।
সরকারি ভাবে আটজনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও, বেসরকারি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। কারমেলার টুইটেও সে কথা বলা হয়েছে।
বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে ভেলিকা ক্লাদুসা গ্রামের জঙ্গলের ভেতর আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশ’ অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ থাকছেন পলিথিনের তাঁবুতে৷ প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে ঘুমাতে পারেন না তারা৷ জানালেন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী শাহীন৷ ছোট্ট একটা পলিথিনের তাঁবুতে থাকছেন তিনি৷
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সংবাদসংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, প্রথম আগুন লাগে যেখানে, সেখানে প্রায় ৭০০ শরণার্থী ছিলেন। তারা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে কাজের খোঁজে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ইয়েমেন প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করে শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়েছিল।
হর্ন অফ আফ্রিকা পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষ সৌদি এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজে সন্ধানে যান। প্রচারক থেকে শুরু করে অফিসের হাউসকিপার– নানা ধরনের কাজের খোঁজ করেন তারা। কিন্তু সীমান্ত পেরনোর সময় বহু মানুষ ধরা পড়েন। তাদের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইয়েমেনের শিবিরটিও তেমনই ছিল। গত কয়েক বছরে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার শরণার্থী ইয়েমেনে পৌঁছেছেন। গত বছর সংখ্যাটি কমেছিল করোনার কারণে। বহু শরণার্থী ইয়েমেনের যুদ্ধের শিকারও হয়েছেন। অনেকে পাচার হয়ে গেছেন ড্রাগ মাফিয়াদের কাছে।
Originally posted 2021-03-08 15:17:59.