ইতালিতে আবারো করোনার থাবা

ইতালিতে আবারো বাড়ছে করোনার প্রকোপ। প্রতিদিনই নতুন করে শনাক্ত হচ্ছে ৩০ হাজারেরও অধিক মানুষ। সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এদিকে করোনার দ্বিতীয় প্রকোপের কারণে দেশটিতে ফিরতে পারছেনা প্রায় ৬ হাজার ফ্যামিলি ভিসাধারী বাংলাদেশি।

জানা যায়, দেশটিতে প্রতিদিনই নতুন শনাক্তের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে ইতালি সরকার। সম্প্রতি পুরো দেশকে তিনভাগে বিভক্ত করে লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোকে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এসব অঞ্চলে লকডাউন থাকলেও শর্তসাপেক্ষে চলাফেরা করা অনুমতি রয়েছে।

এছাড়াও করোনার দ্বিতীয় এ প্রকোপের জন্য বাংলাদেশে আটকে আছে প্রায় ৬ হাজার ফ্যামিলি ভিসাধারী বাংলাদেশি। করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যকার ফ্লাইট বন্ধ থাকার পর দেশটির বিভিন্ন স্থানে বৈধভাবে কর্মরত শ্রমিক বা বৈধ কাগজধারীদের ইতালিতে প্রবেশের অনুমতি দিলেও নতুন করে যারা ফ্যামিলি ভিসা পেয়েছেন তাদের অনুমতি মিলেনি এখনো। এদিকে এই ভিসাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এসব বাংলাদেশিরা। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন দেশে আটকে পড়া নতুন ফ্যামিলি ভিসাধারীরা।

এবিষয়ে নতুন ফ্যামিলি ভিসা প্রাপ্ত আফরোজা হোসাইন আশা বলেন, ‘আমার স্বামী ইতালি প্রবাসী। আমাদের সেখানে নেবার জন্য সে অনেক টাকা খরচ করে ভিসা করিয়েছে কিন্তু ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে আমি ইতালিতে ফিরতে পারছিনা। এদিকে আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। জানিনা এরপর ইতালিতে ফিরতে পারবো কিনা। তবে আমরা চাই আমাদের সরকার যেন ইতালির সরকারের সাথে দ্রুত এই বিষয় টা নিয়ে আলোচনা করেন’।

এছাড়াও একই ক্যাটাগরির আরেক ভিসাধারী সাগর মোল্লা শুভ বলেন, ‘আমার বাবার মারফতে আমি ইতালির ফ্যামিলি ভিসা পেয়েছি কিন্তু ফ্লাইট বন্ধের কারণে যেতে পারছি না’।

তবে এ বিষয়ে ইতালিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার বলেন, ফ্যামিলি ভিসাধারীদের বিষয়ে আমরা এখানকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি । তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে ইতালি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি আমরা এদের বিষয়ে ভালো একটা খবর পাবো।

এদিকে এ বিষয়ে স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটির নেতাকর্মীরা মনে করছেন, করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ না কমা পর্যন্ত নতুন ভিসাপ্রাপ্তদের ফেরা অনেকটা অনিশ্চিত। তবে ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরের করোনার টিকা ইতালিতে পৌঁছালেই কমে যাবে করোনার প্রভাব। আর এরপরই হয়তো এদের ফেরার সুযোগ হবে। তবে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের ভিসার মেয়াদ হয়তো সয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ানো হবে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা।itf

Originally posted 2020-11-15 06:35:08.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *