মাত্র ১৯ হাজার ২৫ টাকার লোভে সব শেষ প্রধান শিক্ষিকার

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদারের বিরুদ্ধে নতুন করে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদানকৃত ১০ ছাত্রী উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

গত ২৯ জুন পাওয়া লিখিত অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্য যশোর শিক্ষা বোর্ডরে উপ-পরিচালক মোঃ এমদাদুল হক ও সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক এম, এম আনিছুর রহমান।

যশোর শিক্ষাবোর্ড সুত্রে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদার ২০১৭/১৮ অর্থ বছরে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার, শিমু সুলতানা, তানজিনা রাসেল, ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী আখি ইসলাম, ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী তানজিনা রাসেল, সুরাইয়া শারমিন ঐশি, ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ফারজানা ইয়াসমিন, সামিরা আক্তার নুপুর, ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী সামিয়া খাতুন ও সাদিয়া ইসলামের উপবৃত্তির ১৯ হাজার ২৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।

তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্কুল পরিচালনা কমিটি বরাবর গত ১৪ সেপ্টম্বর বিঅ ৬/৬৮৪৩/৭৬৭ নং স্মারকে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদারকে শাস্তি দিতে চিঠি দেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদার ১০ জন শিক্ষার্থীর টাকা উত্তোলন করে নিজের কাছে রেখেছেন, যা আত্মসাতের সামিল। প্রধান শিক্ষকের এই শাস্তিযোগ্য অপরাধে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে যশোর শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

অভিযোগ উঠেছে, যোগদানের পর থেকেই প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদার স্কুল নানা ফান্ডের টাকা তছরুপ করেন। প্রতিবাদ করে অনেক শিক্ষক দুর্ব্যবহারের শিকার হন। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদার সাংবাদিক ও স্কুলের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপুর্ন পোষ্ট দিয়ে ডিজিটাল আইনে মামলায় ঝুলে স্কুল থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন।

এসব বিষয়ে স্বুলের সভাপতি তৈয়েবুর রহমান খান জানান, প্রধান শিক্ষক ছাত্রী উপ-বৃত্তির টাকা আত্মসাত করেছেন বলে তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। তিনি বলেন, শাস্তিমুলক ব্যবস্থা আর কি নেব? তিনি তো সাময়িক বরখাস্ত আছেনই। আমি প্রধান শিক্ষককে বলেছি এই টাকা স্কুলের নয়, সরকারী। এটা সরকারী ফান্ডে তাকে আমি ফেরৎ দিতে বলেছি। তিনি বলেন, আমরা যশোর শিক্ষা বোর্ডের এই চিঠির জবাব অচিরেই দেব।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Originally posted 2020-09-20 20:44:39.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *