ঢাকার যেসব এলাকায় করোনা রোগী বেশি

প্রাণঘাতীকরোনাভাইরাসে রোজ মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন নতুন নতুন প্রাণ। আক্রান্ত হচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ।বুধবার পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৯২ জন। মারা গেছেন ৫৪৪ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়, ১৪ হাজার ৩৪৮ জন।

বুধবার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকায় সবচেয়ে বেশিআক্রান্ত হয়েছেন মিরপুর ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।তবে রাজধানীর প্রায় সব পাড়া মহল্লায়ই কিছু না কিছু রোগী রয়েছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর মিরপুর, ধানমন্ডি, চকবাজার,বংশাল, গেন্ডারিয়া, হাজারীবাগ, শাহবাগ, গুলশান, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, মিটফোর্ড, মোহাম্মদপুর, রাজারবাগ, শাখারি বাজার, তেজগাঁও, উত্তরা, ওয়ারি করোনার অন্যতম হটস্পট।

এখন পর্যন্ত রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে মিরপুরে (মিরপুর ১, ২, ৬, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, পল্লবী ও পীরেরবাগ)-মোট ৬১৪ জন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে মহাখালীতে-৩৫৬ জন। তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনা রোগী মুগদায়, ২৯৫ জন।
যাত্রাবাড়ীতে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩১৫ জন, রাজারবাগে ২১৩ জন, মোহাম্মদপুরে ২৮৮ জন এবং কাকরাইলে শনাক্ত হয়েছেন ২৯৮ জন।

আদাবরে ৪৬ জন, আঁগারগাওয়ে ৮৫ জন, আজিমপুরে ৬২ জন, বাবু বাজারে ১৬১ জন, বাড্ডায় ১২৯ জন, বনানীতে ৭৪ জন, বংশালে ৯৯ জন, বাসাবোতে ৮৯ জন, বসুন্ধরায় ৫২ জন, ক্যান্টনম্যান্ট এলাকায় ১৭ জন, চাংখারপুলে ৪৫ জন, চকবাজারে ৭৯ জন, ধানমন্ডিতে ১৭২ জন, ইস্কাটনে ৫২ জন, ফার্মগেটে ৪৮ জন, গেন্ডারিয়ায় ১০৯ জন, গ্রীনরোডে ৫০ জন, গুলশানে ৯৪ জন, হাজারীবাগে ৮০ জন, জুরাইনে ৫৩ জন, কল্যাণপুরে ৩৮ জন, চক বাজারে ৭৯ জন, কামরাঙ্গীর চরে ৫৩ জন, খিলগাঁওয়ে ১৫১ জন এবং কোতোয়ালিতে ২৯ জন শনাক্ত হয়েছেন।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যু হয় করোনায়।

Originally posted 2020-05-28 12:57:26.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *