ইউএনও’র ওপর হামলার কারণ জানালো প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত আসাদুল, সান্টু ও নবীরুল নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুরে র‌্যাব কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, আটককৃত আসাদুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে চুরির উদ্দেশেই তারা এ হামলা চালিয়েছে।

তবে, র‌্যাব তাদের এ কথা এখনই বিশ্বাস করতে পারছে না। র‌্যাব বলছে, এ বিষয়ে আরো তদন্ত করার পরই মূল ঘটনা জানা যাবে। আসাদুল ও নবীরুল দু’জনই রঙ মিস্ত্রি।

এদিকে, গুরুতর আহত ওয়াহিদা খানমের জ্ঞান ফিরেছে। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন।

বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মাথায় অস্ত্রোপচারের পর থেকে ঢাকার নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এ কর্মকর্তা। জ্ঞান ফেরার পর তিনি কথা বলেন তার স্বামীর সঙ্গে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক আছে।

রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই অপারেশন থিয়েটার থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। রাতেই তার জ্ঞান ফিরে আসে।

উল্লেখ্য, বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে পিটিয়ে আহত করে দুষ্কৃতকারীরা।

তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে পরে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *