শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সরকারের অবস্থান জানালেন কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা ১৫ আগস্টের বিচার বন্ধ করতে চেয়েছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা মানায় না। মির্জা ফখরুল ইসলাম বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির যে অভিযোগ করেছেন তাও অস্বীকার করেন তিনি।

সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ জোন বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে একথা বলেন তিনি।

সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দেখেন। কোথাও রাজনীতির কারণে হয়রানি করা হচ্ছে না। যারা এদেশের রাজনীতিতে হত্যার প্রতিহিংসা ছড়িয়েছে। তাদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যারা মানবাধিকার নিয়ে নিজেদের অতীতকে কলঙ্কিত করেছেন; তাদের মানবাধিকারের বক্তব্য কিছুতে শোভনীয় নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কজনক হত্যা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে কারা ইনডেমনিটি আইন করেছিল? কারা কলঙ্ককিত করেছিল সংবিধানে ৫ম সংশোধনী। তাই আগস্ট এলেই আমরা আতঙ্কে থাকি। কারণ ষড়যন্ত্রকারী এবং বিশ্বাস ঘাতকদের প্রেত্মারা এখনও আছে। আছে তাদের ষড়যন্ত্রের নকশা। যারা এ দেশের রাজনীতিতে রক্ত, হত্যা আর প্রতিহিংসা ছড়িয়েছে তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলা আরেক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে জনগণ মনে করে।

অভিভাবকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের এ সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকা এবং বাসা-বাড়িতে অবস্থান করায় শিশু কিশোর এবং তরুণদের মানসিক চাপ বেড়েছে। সরকার সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিক্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনলাইনে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সরকার যথা সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আমি অভিভাবকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি।’

Originally posted 2020-08-10 19:03:32.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *