শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকাগামী মানুষের ঢল

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকাগামী মানুষের ঢল নেমেছে। করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ফেরিতে গাদাগাদি করে নিজ নিজ কর্মস্থলে ছুটছেন হাজার হাজার মানুষ। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, লঞ্চ-স্পিডবোট, ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিই এখন একমাত্র পারাপারের অবলম্বন। তাই গাদাগাদি করে হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। আর অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নিজ নিজ কর্মস্থল ছুটছেন তারা। ফেরিতে যাত্রী প্রতি ২৫ টাকা এবং মোটরসাইকেল থেকে ৭০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়া, যাত্রী এবং মোটরসাইকেলের টিকিট বিক্রি করেত ২৮ জন ডেইলি পেমেন্ট অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিদিন এই খাতে আয় হওয়া লাখ লাখ টাকার একটি অংশ ভাগভাটোরা হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই।

আবার মূল ঘাট থেকেও কিছু স্পিডবোট চলছে এমন অভিযোগের বিষয়ে ইজাদার আশরাফ খান জানিয়েছেন, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

এছাড়া শিমুলিয়া থেকে অতিরিক্ত ভাড়া ও গাদাগাদি করে যাতায়াতের ব্যাপারেও দায়িত্বশীলরা কিছুই জানেন না। শুক্রবার (২৯ মে) গাড়ি পাওয়া দুস্কর ছিল। যাদের অতিরিক্ত ভাড়া দেয়ার অবস্থা নেই, তারা লাগেজ নিয়ে পায়ে হেঁটে ঢাকায় রওনা হয়েছে। গাদাগাদি করে যাত্রী উঠিয়ে ৪-৫ গুণ বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এর বাইরে বড় ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করেও যাত্রী বহন করা হচ্ছে।

এসব ব্যাপারে লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। নিয়মে রাখতে কিন্তু যাত্রীর এতচাপ সামাল দিতে গিয়ে সব নিয়মে আনা যাচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সাফায়েত হোসেন বলেন, যাত্রী প্রতি ২৫ টাকা এবং মোটরসাইকেল প্রতি ৭০ টাকা আদায় ঠিক আছে, অতিরিক্ত নয়।

তিনি বলেন, শুক্রবার ১০টি ফেরিতে পারাপার চলছে। এখনো টানা ফেরি চলাচল উপযোগী হয়নি। এখনো ঢেউ আছে।

মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর বলেন, স্পিডবোট এখন আর চলাচল করছে না। এরই মধ্যে ২টি স্পিডবোট ৪৩টি ট্রলার আটক করা হয়েছে।

Originally posted 2020-05-29 13:00:28.



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *